অলৌকিক কিছুই করতে হতো লিভারপুলকে। ইংলিশ ক্লাবটির কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ হয়তো আগেই টের পেয়েছিলেন, রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে এই লিভারপুলের সে ক্ষমতা নেই। সে কারণেই সম্ভবত কাল রাতে রিয়ালের কাছে শেষ ষোলো ফিরতি লেগেও হেরে বিদায়ের পর চুপচাপই আছেন ক্লপ। মনে করিয়ে দিয়েছেন লিভারপুলের সামনে কতটা কঠিন চ্যালেঞ্জ।
ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে শেষ ষোলো পর্বের প্রথম লেগে ২ গোলে এগিয়ে গিয়েও রিয়ালের কাছে ৫-২ ব্যবধানে উড়ে গিয়েছিল লিভারপুল। ফিরতি লেগে করিম বেনজেমার একমাত্র গোলে লিভারপুল হেরেছে ১-০ ব্যবধানে। দুই লেগ মিলিয়ে ৬-২ অগ্রগামিতায় কোয়ার্টার ফাইনালে কার্লো আনচেলত্তির দল।
এ নিয়ে সর্বশেষ তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগেই রিয়ালের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে লিভারপুল। লিভারপুল কোচ ক্লপও মেনে নিলেন বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের শ্রেষ্ঠত্ব, ‘ম্যাচ হারায় আমার রাগ নেই, তবে হতাশা আছে। যদি আমরা ভালো খেলে লড়াই করতাম কিংবা রিয়াল এমন একটা পেনাল্টি পেল, যেটা আসলে পেনাল্টি হয়নি—এমন কিছু হলে আমি রাগ করতাম। কিন্তু এমন কিছুই হয়নি। এই লড়াইয়ে সেরা দল রিয়ালই ছিল।’
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ পয়েন্ট তালিকায় ষষ্ঠ লিভারপুল। অর্থাৎ আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা লিভারপুলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। লিগে সর্বশেষ ম্যাচে বোর্নমাউথের কাছে হারা লিভারপুলের জন্য শীর্ষ চারে থেকে মৌসুম শেষ করা বড় পরীক্ষাই বলতে হবে। সে পরীক্ষার বড় বড় প্রশ্নের উত্তর লিভারপুলের দিতে হবে আগামী তিন ম্যাচেই।
আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে লিভারপুলকে খেলতে হবে ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি ও আর্সেনালের বিপক্ষে।
ক্লপও মানছেন এই তিন ম্যাচই লিভারপুলের চ্যাম্পিয়নস লিগ ভাগ্য নির্ধারণ করে দেবে, ‘প্রতিবছরই আমরা চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে চাই। কাজটা কঠিন আমরা সবাই জানি। আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতি শেষে আমার সামনে কঠিন এক সপ্তাহ, খেলতে হবে সিটি, চেলসি, আর্সেনালের বিপক্ষে। এই তিন ম্যাচই নির্ধারণ করে দেবে, আমরা কীভাবে মৌসুম শেষ করতে যাচ্ছি।’