লম্বা সময় ধরে চলতে থাকা নাটকীয়তার পর এবারের দলবদলে স্বপ্নের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। উয়েফা সুপার কাপ জিতে রিয়ালের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও লা লিগায় চিত্রটা ছিল ব্যতিক্রম।
প্রথম তিন ম্যাচে কোনো গোলই পাননি এমবাপ্পে। সেই তিন ম্যাচে দুটিতে ড্র করে রিয়াল। এমন পারফরম্যান্সের পর সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় এমবাপ্পেকে। অনেকে তাঁকে এডেন হ্যাজার্ডের সঙ্গেও তুলনা করতে শুরু করেন।
চতুর্থ ম্যাচে অবশ্য জোড়া গোল করে দলকে জিতিয়ে দারুণভাবে ফেরার বার্তা দিয়েছেন এমবাপ্পে। তবে এই পারফরম্যান্সেও তিনি সন্তুষ্ট করতে পারেননি বিশ্বকাপজয়ী সাবেক ফরাসি ফুটবলার ক্রিস্তফ দুগারিকে। নিয়মিত এমবাপ্পের সমালোচনা করা সাবেক এই ফুটবলার বলেছেন, এমবাপ্পে অনেক দিন ধরেই একজন গড়পড়তা মানের ফুটবলার। এ সময় ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সঙ্গেও এমবাপ্পের তুলনা টানেন দুগারি।
সম্প্রতি ফ্রান্সের ক্রীড়াবিষয়ক টেলিভিশন চ্যানেল আরএমসি স্পোর্টকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী ফরোয়ার্ড দুগারি। সাক্ষাৎকারে এমবাপ্পে এই মুহূর্তে খেলোয়াড় হিসেবে গড়পড়তা মানের উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘এটি (রিয়ালের হয়ে এমবাপ্পের শুরু) মৌসুমের ভালো শুরু হিসেবেই বিবেচিত হবে। সে প্রথম ম্যাচেই গোল করেছে, এরপর জোড়া গোল করল। আপনি যদি পরিসংখ্যানে স্থির থাকেন, তাহলে সে সফল। ওর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গোল ও পরিসংখ্যান থাকা সত্ত্বেও লম্বা সময় ধরে গড়পড়তা মানের। কয়েক মাস ধরে সে এমনই, হোক সেটা ফ্রান্স দল কিংবা পিএসজি অথবা বর্তমানে রিয়াল মাদ্রিদে। ’
খেলোয়াড় হিসেবে এমবাপ্পের আরও অনেক উন্নতি করতে হবে জানিয়ে দুগারি আরও বলেছেন, ‘আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে ওর খেলায় উন্নতি আনতে হবে। ডুয়েলে, শারীরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ক্ষেত্রে, হেডে এবং কৌশলগত বিষয়ে। সে খুব সামান্যই পার্থক্য গড়ে দিতে পারছে। এ নিয়ে ওর নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত।’
এরপর ভিনিসিয়ুসের সঙ্গেও এমবাপ্পের তুলনা টানেন দুগারি, ‘আমরা এমবাপ্পের কৌশলগত সীমাবদ্ধতাগুলো দেখেছি। আমরা জানি যে সে কৌশলগত দিক থেকে ১০ জন সেরা খেলোয়াড়ের একজন। আর আজ ভিনিসিয়ুসের মতো একজন খেলোয়াড়ের পাশে তার সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট।’
এ সময় দুগারির সঙ্গে থাকা পিএসজির সাবেক মিডফিল্ডার জেরোম রোথেনও সায় দেন একই কথায়, ‘আপনি যদি ভিনিসিয়ুস এবং এমবাপ্পের শারীরিক স্তরের তুলনা করেন, তখন ব্যাপারটা এমনই। একই ধরনের পরিস্থিতিতে বিশেষত এমবাপ্পে যখন বাঁ প্রান্তে থাকে, তখন সে ভিনিসিয়ুসের মতো সুযোগ তৈরি করতে এবং প্রভাব তৈরি করতে পারে না। এই ধরনের পরিস্থিতিতে ডিফেন্ডারদের সরাতে এমবাপ্পের কষ্ট হয়।’