আর কত! এমনটাই কী ভাবছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ এরিক টেন হাগ? ইউনাইটেডের কোচ হয়ে আসার পর থেকে মাঠের খেলা নিয়ে যতটা না প্রশ্ন শুনেছেন, তার চেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে নিয়ে। ক্লাবের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই টেন হাগের বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন রোনালদো।
বারবার রোনালদোসংক্রান্ত সমস্যা মোকাবিলা করতে করতে যেন তিতিবিরক্ত এই ডাচ কোচ। সংবাদ সম্মেলনে টেন হাগ বলেছেন, রোনালদোকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে সেটা যেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডকে গিয়েই করেন সাংবাদিকেরা!
টেন হাগ ইউনাইটেডের দায়িত্ব নেওয়ার পর শোনা যাচ্ছিল, তাঁর পরিকল্পনায় নেই রোনালদো। এরপর দলবদলের শুরুতে রোনালদো নিজেই ইউনাইটেড ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
প্রথম দিকে রোনালদোকে ছাড়তে অনীহার কথা জানালেও পরে সেই অবস্থান থেকে ইউনাইটেডের সরে আসার কথাও শোনা যায়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য কাঙ্ক্ষিত ক্লাব না পেয়ে ওল্ড ট্রাফোর্ডে থেকে যান রোনালদো। এরপর শুরু হয় নাটকের দ্বিতীয় অধ্যায়।
রোনালদোকে বেশির ভাগ ম্যাচে বেঞ্চে রেখেই নিজের পরিকল্পনা সাজান টেন হাগ। টেন হাগের এমন সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি রোনালদো।
একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ রোনালদো টটেনহাম ম্যাচে খেলা শেষ হওয়ার আগেই মাঠ ছেড়ে যান। এ নিয়ে রোনালদোর পক্ষে–বিপক্ষে সমালোচনাও হয়েছে ব্যাপক। এরপর চেলসি স্কোয়াড থেকেও বাদ দেওয়া হয় তাঁকে। পরিস্থিতি মেনে নিয়ে রোনালদো এখন স্কোয়াডে ফিরেছেন। রোনালদোর সঙ্গে টেন হাগের সম্পর্কও আগের চেয়ে উষ্ণ মনে হচ্ছে।
এর মধ্যে ইউরোপা লিগে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ম্যাচের আগে রোনালদোর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন শুনে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন টেন হাগ। প্রশ্নকর্তা সাংবাদিককে উদ্দেশ করে ডাচ কোচ বলেছেন, ‘প্রথমত, আপনি যদি তার অনুভূতি নিয়ে কথা বলেন, তবে তাকে জিজ্ঞেস করুন, আমাকে নয়।’
এরপর অবশ্য নিজেকে সামলে নিয়ে রোনালদোর প্রশংসাও করেছেন টেন হাগ। তিনি আরও যোগ করে বলেছেন, ‘সে দারুণ পেশাদার। দলের ভেতর সে একজন নেতার মতো। সে দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্পেনে সে রক্ষণ দুর্গগুলোর জন্য হুমকি, প্রতিটি ফাঁকা জায়গা সে ব্যবহার করবে।’