গ্রুপ পর্বে গোল হজম হিসাব করলে কলম্বিয়ার তুলনায় জ্যামাইকাই ভালো খেলেছে। ‘এইচ’ গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোয় ওঠার পথে ২ গোল হজম করেছে কলম্বিয়া। আর জ্যামাইকা ‘এফ’ গ্রুপ থেকে প্রথম ক্যারিবীয় দল হিসেবে শেষ ষোলোয় উঠে আসার পথে একবারও নিজেদের জাল থেকে বল কুড়ায়নি।
অথচ দুই দলের র্যাঙ্কিং এমন পারফরম্যান্সের উল্টোটা বোঝায়—কলম্বিয়া ২৫তম ও জ্যামাইকা ৪৩তম। কিন্তু ওই যে কথায় আছে না, বড় মঞ্চে বড় দলগুলোর দাপটই বেশি। মেলবোর্নে আজ জ্যামাইকাকে সেটা বোঝাতে অবশ্য বেশ কষ্টই হয়েছে কলম্বিয়ার।
নারী বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় জ্যামাইকাকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে কলম্বিয়া। জ্যামাইকার জন্য কারও কারও খারাপ লাগতে পারে। এবার চার ম্যাচে জ্যামাইকা একটি মাত্র গোলই হজম করেছে। ৫১ মিনিটে কাতালিনা উসমের সেই গোলের আগে ৩২১ মিনিট নিজেদের জাল অক্ষত রেখেছিল জ্যামাইকা।
কিন্তু ওই একটি গোলই শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়াল! একবার পোস্টে মেরে ও ভালো কয়েকটি হেডের সুযোগ নষ্ট করার খেসারত গুণে এই বিশ্বকাপে হজম করা প্রথম গোলের ধাক্কাতেই বাড়ি ফিরল জ্যামাইকার মেয়েরা। আর কলম্বিয়া শেষ আটে উঠে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেল ইংল্যান্ডকে। শনিবার সিডনিতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি হবে লাতিন আমেরিকান দেশটির মেয়েরা।
সর্বশেষ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ না পাওয়া কলম্বিয়া প্রথমার্ধে জ্যামাইকান রক্ষণে সেভাবে চিড় ধরাতে পারেনি। কোচ নেলসন আবাদিয়ার আক্রমণাত্মক ফুটবল তাঁরা মাঠে ভালোই ফলিয়েছে। কিন্তু বক্সে গিয়ে গোলমাল পাকিয়ে ফেলেছে আঁটসাঁট রক্ষণে।
শেষ পর্যন্ত ৫১ মিনিটে আনা গুজমানের ক্রস থেকে গোল করে কলম্বিয়াকে এগিয়ে দেন কাতালিনা উসমে। এর পাঁচ মিনিট কলম্বিয়ার বক্সে জটলার ভেতর থেকে হেডে বল পোস্টে মারেন জোডি ব্রাউন। সেখান থেকে বল পেয়ে প্রতি আক্রমণে উঠেছিল কলম্বিয়া। তাঁদের রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকার লিন্ডা কাইসেদো জ্যামাইকান গোলকিপার রেবেকা স্পেনারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি।
গোল হজমের পর জ্যামাইকা মরিয়া চেষ্টা করেও কলম্বিয়ান রক্ষণে চিড় ধরাতে পারছিল না। বিশেষ করে নির্ধারিত সময়ের শেষ ১০ মিনিটে জ্যামাইকান রক্ষণের খেলোয়াড়েরাও উঠে গিয়েছিলেন গোলের খোঁজে। এই সুযোগে ৮৬ মিনিটে আক্রমণে উঠে কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড কাতালিনা উসমের ক্রস থেকে লেসি স্যান্টোস হেড করলেও তা পোস্টে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।