নাম তাঁর জ্যাকব লিম্বু। পড়েন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। নেপালের ২৪ বছর বয়সী এই তরুণকে আজ আবিষ্কার করা গেল ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলে ঢাকা অঞ্চলের প্রথম দিনে, সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মাঠে।
লিম্বু খেলতে নামেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্সিতে। টুর্নামেন্টের গতবারের সেমিফাইনালিস্ট জাহাঙ্গীরনগর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তাঁর দল ৯-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে। তবে লিম্বু নজর কেড়েছেন ভিনদেশি ফুটবলার হিসেবে। আক্রমণভাগে খেলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র গোলটিও করেছেন তিনি।
বিরতির আগে অবশ্য তুলে নেওয়া হয় তাঁকে। এই সুযোগে বিরতির সময় কথা হয় লিম্বুর সঙ্গে। জানালেন ৪ বছর আগে বাংলাদেশে তাঁর আসা। ফ্যাকাল্টি অব অ্যাগ্রিকালচারে এবার চতুর্থ বা শেষ বর্ষে আছেন। পড়াশোনা শেষ করে এখানকার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান দেশে গিয়ে।
ফুটবল খেলাটা তাঁর ভীষণ প্রিয়। এই ভালো লাগা তৈরি হয়েছে ছোট থেকেই। কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ১০ ঘণ্টার বাস যাত্রার দূরত্বে তাঁর বাড়ি। বাড়ির পাশে মাঠে খেলতেন। পেশাদার ফুটবলার হননি, তবে ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা রয়ে গেছে।
সেটি প্রকাশ করেন এভাবে, ‘ভালোই লাগছে এখানে এসে। ভালো ভালো খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা হয়েছে। ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলে আমি এবারই প্রথম খেলছি। তবে অন্য আন্তবিশ্ববিদ্যালয় টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ হয়েছে। আমাদের চেয়ে এখানে খেলার সুযোগ-সুবিধা বেশি।’
বাংলাদেশে থাকার সুবাদে বাংলাদেশি দুই-চারজন ফুটবলারের নাম জানেন। তাঁদের মধ্যে আলাদা করে বললেন সদ্য নেপালে সাফ জিতে আসা বাংলাদেশ নারী দলের খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমার নাম। বললেন ‘টিভিতে ওর খেলা দেখেছি, খুব ভালো খেলে।’ বাংলাদেশের শেখ মোরছালিনের খেলাও ভালো লাগে বলে জানালেন।
বাংলাদেশের কোনো স্টেডিয়ামে কখনো যাওয়া হয়নি খেলা দেখতে। তবে টিভিতে দেখেছেন। ইচ্ছা আছে, সুযোগ হলে স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখার।
‘আজকের দিনটি আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে’— লিম্বু পরিষ্কার বাংলায় বলে গেছেন। বাংলা শিখেছেন, সাবলীলভাবে বাংলাতেই কথা বলেন এই তরুণ।