লিওনেল মেসিকে ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালে হিউস্টন ডায়নামোর বিপক্ষে খেলানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছিল ইন্টার মায়ামি। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করেও তাঁকে খেলাতে পারেননি কোচ জেরার্দো মার্তিনো। সেই ম্যাচে একাদশে দূরে থাক, বেঞ্চেও ছিলেন না মেসি। আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে ছাড়া ইন্টার মায়ামিও পারেনি সেদিন শিরোপা জিততে, হেরেছে ২–১ গোলে। দলের এই হার দর্শক সারিতে বসে দেখেছেন মেসি।
এর পর থেকে মেসির চোট কতটা গুরুতর, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি ইন্টার মায়ামির হয়ে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) পরের ম্যাচে মেসি খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়েও কৌতূহলী হয়েছেন অনেকে। জানা গেছে, মেসির ডান পায়ের পেছনের অংশে অস্বস্তি আছে, ঝুঁকি নিয়ে মাঠে নামালে তা আরও গুরুতর হয়ে উঠতে পারে। এ কারণেই মূলত অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে এমএলএসের ম্যাচে এবং ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালে দেখা যায়নি তাঁকে।
ইন্টার মায়ামি নিজেদের পরের ম্যাচ খেলবে শনিবার নিউইয়র্ক এফসির বিপক্ষে। এমএলএসের প্লে–অফ খেলা নিয়ে শঙ্কায় থাকা ইন্টার মায়ামির জন্য এই ম্যাচ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই ম্যাচেও মেসির খেলা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা আছে। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, ইন্টার মায়ামি চেষ্টা করছে মেসিকে কিছু সময়ের জন্য হলেও মাঠে নামাতে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে মেসির চোটের অবস্থার ওপর।
মৌসুমে বাকি থাকা ৫ ম্যাচে মেসি আর খেলতে পারবেন কি না, সেটা নিয়েও শঙ্কা আছে অনেকের মনে। তবে হিউস্টনের বিপক্ষে ফাইনালের পর মেসির মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন কোচ মার্তিনো। সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘মেসির খেলাটা একেবারেই ভালো হতো না। এমনকি তাকে কয়েক মিনিট খেলানোর ঝুঁকিও আমরা নিতে পারতাম না। তবে সে এমএলএসের মৌসুম শেষ হওয়ার আগে খেলবে। তবে পরিস্থিতি বোঝার জন্য আমরা ম্যাচ ধরে এগোব। দেখব, সে আবার কবে ঝুঁকি ছাড়া খেলতে পারবে।’
এদিকে মায়ামির হয়ে যে ম্যাচগুলোতে মেসি না খেলতে পারেন, সেই ম্যাচের টিকিট বিক্রির চেষ্টা করছে ক্লাবটির অনেক সমর্থক। পাশাপাশি মেসির চোটের কারণে মায়ামির টিকিটের দামও নাকি এখন অনেক কমে গেছে। তবে মৌসুম–টিকিটধারীদের জন্য পরিস্থিতি অবশ্য ভিন্ন। জানা গেছে, ২০২৪ সালের টিকিট নবায়ন করতে এ বছরের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি খরচ করতে হবে সমর্থকদের।