ফরাসি লিগ আঁতে মঁপেলিয়ের বিপক্ষে গতকাল যোগ করা সময়ে পিএসজির হয়ে নিজের প্রথম গোলটি করেন ওয়ারেন জাইরে-এমেরি। যেকোনো পর্যায়ে নিজের প্রথম কোনো কিছু বরাবরই বিশেষ। তবে ওয়ারেনের করা গোলটির মাহাত্ম্য আরেকটু বেশি। পিএসজির সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে গোলটি করেছেন ওয়ারেন।
গতকাল রাতে পিএসজিকে ৩-১ ব্যবধানে জেতানোর পথে ওয়ারেন যখন লক্ষ্য ভেদ করেন, তখন তাঁর বয়স ১৬ বছর ৩৩০ দিন। এর চেয়ে কম বয়সে আর কেউ পিএসজির হয়ে বল জালে জড়াতে পারেননি। এর আগে পিএসজির হয়ে রেকর্ডটি ছিল বার্থোলোমেও অগবেচের। যিনি ২০০১ সালের নভেম্বরে গোল করেছিলেন ১৭ বছর ৫৫ দিন বয়সে।
এদিন গোলের পর ওয়ারেনের সঙ্গে উদ্যাপনে সঙ্গী হয়েছেন লিওনেল মেসি। অথচ আর্জেন্টাইন মহাতারকা যখন নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন, তখন জন্মই হয়নি এই কিশোরের। ম্যাচ শেষে মেসির সঙ্গে গোল উদ্যাপনের মুহূর্তটি অবিশ্বাস্য ছিল বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। ২০০৬ সালের ৮ মার্চ জন্ম ওয়ারেনের। ২০১৪ সালে তিনি পিএসজির বয়সভিত্তিক দলে যোগ দেন। আর পিএসজির হয়ে তাঁর অভিষেক হয় গত বছরের আগস্টে।
ক্লাবের জার্সিতে সেদিনও একটি রেকর্ড নিজের করে নিয়েছিলেন এই ফরাসি মিডফিল্ডার। ক্লাবের হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে অভিষিক্ত খেলোয়াড়ও হন ওয়ারেন। একই বছরের ২৫ অক্টোবর ম্যাকাবি হাইফার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগেও অভিষেক হয় তাঁর। ম্যাচ খেলা হলেও পাওয়া হচ্ছিল না গোল। অবশেষে গোলটি এল মঁপেলিয়ের বিপক্ষে ম্যাচে।
লিগ আঁতে নিজের রেকর্ড গড়া গোলের পর ওয়ারেন বলেছেন, ‘লিগ আঁতে আমি নিজের প্রথম গোল করেছি এবং মেসির সঙ্গে উদ্যাপন করেছি। আমি এটা বিশ্বাস করতে পারছি না।’ ওয়ারেন গোল করার সময় কাছাকাছি জায়গায় মেসিও ছিলেন। তাঁকে পাস না দিয়ে নিজে গোল করার প্রসঙ্গে ওয়ারেন বলেছেন, ‘আমি মেসিকে দেখেছিলাম, তবে আমি জানতাম শট নেওয়াটাই যথার্থ কাজ হবে। আমি সুযোগটা নিয়েছি এবং সেটা ফল এনে দিয়েছে।’
ওয়ারেনের গোলটি রেকর্ড গড়া হলেও গোল করার সময় সেটি জানা ছিল না তাঁর, ‘আমি জানতাম না। এটা দারুণ ব্যাপার। আমি নিজের প্রথম গোল করেছি এবং আনন্দিত।’