নিজেদের প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফিটা দুই বছর আগেই জিততে পারত ম্যানচেস্টার সিটি। চেলসির বিপক্ষে ২০২১ সালের সেই ফাইনালে ফেবারিট হিসেবেই মাঠে নেমেছিল পেপ গার্দিওলার দল। কিন্তু কৌশলগত ভুলের কারণে সেদিন শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে হেরে শিরোপাবঞ্চিত হয়েছিল সিটি।
মিডফিল্ড থেকে অধিনায়ক ফার্নান্দিনিও এবং রদ্রিকে সরিয়ে নেওয়াকেই সেই ম্যাচে সিটির হারের বড় কারণ হিসেবে দেখা হয়। আর সেই ভুলের কারণে এখনো সমালোচনার মুখে পড়তে হয় গার্দিওলাকে। তা ছাড়া বড় ম্যাচে প্রায়ই কৌশলগত ভুল করতে দেখা গেছে তাঁকে। তবে দুই বছর আগের সেই ভুল আজ রাতের ম্যাচে শোধরাতে চান ম্যান সিটি কোচ। বলেছেন, শিরোপা জিততে তাঁর দল প্রস্তুত।
গার্দিওলা বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত যে দুই বছর ধরে আমরা যে পরিকল্পনা করেছিলাম এবং আমাদের মনে যা ছিল, তা চেলসির বিপক্ষে জেতার জন্যই। সেটা কাজ করেনি বলেই সবাই বলে সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। কালও (আজ) একই ব্যাপার হবে। আমাদের পরিকল্পনা আছে, একটা ধারণা আছে এবং খেলোয়াড়দের তা জানানো হয়েছে। আমরা প্রস্তুত।’
সেই ম্যাচ ভুলে যাওয়ার মতো ছিল সিটি প্লেমেকার কেভিন ডি ব্রুইনার জন্যও। ম্যাচের একপর্যায়ে চেলসি ডিফেন্ডার আন্তোনিও রুডিগারের আঘাতে চোখের জলে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। সেই ম্যাচের স্মৃতিচারণা করে ডি ব্রুইনা বলেছেন, ‘সেদিন আমরা যথেষ্ট ভালো ছিলাম না এবং আমাদের সেটা স্বীকার করে নিতে হবে। সৌভাগ্যবশত আমরা আরেকটি সুযোগ পেয়েছি। আমাদের এখন সুযোগ এটা প্রমাণের যে আমরা এই প্রতিযোগিতা জিততে পারি।’
শিরোপা জিততে এই ম্যাচেও সিটি তাকিয়ে থাকবে ডি ব্রুইনা-আর্লিং হলান্ডের জুটির দিকে। এ মৌসুমে সিটির সাফল্যের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল এ জুটির। হলান্ডের সঙ্গে প্রথম দেখায় প্রেম কি না, তা জানতে চাইলে ডি ব্রুইনা মজা করে বলেছেন, ‘আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে সুখে আছি। কখনো কখনো একজন খেলোয়াড়ের অনুভূতি আপনি বুঝতে পারেন। সে কী চায় তা আপনি বুঝতে পারেন এবং আপনি কী চান সে তা বুঝতে পারে। আমাদের (হলান্ডের সঙ্গে) যোগাযোগটা কাজে লেগে গেছে। আর তার গোল করার হার অবিশ্বাস্য। যা তাকে দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে দারুণভাবে সাহায্য করেছে। আশা করি, এবার তার যা করার তা করতে পারবে।’
তবে ফাইনালের আগে প্রতিপক্ষ ইন্টারকে নিয়েও সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছেন ডি ব্রুইনা, ‘আমরা জানি ইন্টার কেমন দল। তাদের ডিফেন্স খুবই শক্তিশালী। আমরা খুব সহজে পেরে যাওয়ার বিষয়টি আশা করি না। ফাইনালে তেমনটা সচরাচর হয় না।’