বয়স মাত্র ২২। এরই মধ্যে নামের সঙ্গে কত-না তকমা জুড়ে গেছে হুলিয়ান আলভারেজের। ছিলেন কাতার বিশ্বকাপের সেরা পারফরমারদের একজন। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে শুরুর একাদশে না থাকলেও সুযোগ পেয়েই দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন। সেমিফাইনালে দুটিসহ মোট ৪ গোল করেছেন বিশ্বকাপে।
তবে গোলসংখ্যা নয়, আলভারেজকে অনেকেরই মনে ধরেছে তাঁর খেলার ধরনের কারণে। বিশ্বকাপে উইংয়ে যেমন খেলেছেন, তেমনি নিজেদের অর্ধেও ভালো খেলেছেন। পারেন ডান, বাঁ—দুই পায়েই শট নিতে। এ ছাড়া সব সময় প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের ওপর চাপ প্রয়োগ করে বাড়তি সুবিধাও আদায় করতে পারেন। সে কারণেই মূলত আর্জেন্টিনার ভবিষ্যৎ হিসেবে তাঁকে দেখছেন অনেকেই।
আর্জেন্টাইন এই তরুণকে আগে থেকেই মনে ধরেছিল ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলার। তাঁর প্রতিভায় মুগ্ধ হয়েছিলেন বলেই তো রিভার প্লেট থেকে তাঁকে নিজ দলে নিয়ে এসেছেন গার্দিওলা। আর্লিং হলান্ড, ফিল ফোডেনদের মতো ফুটবলার সিটিতে থাকায় প্রথম একাদশে তেমন একটা জায়গা হয় না আলভারেজের। তবে বিশ্বকাপের আগে সীমিত সুযোগ পেয়েই কাজে লাগিয়েছিলেন আলভারেজ।
বিশ্বকাপ শেষে তাঁর কাছ থেকে আরও বেশি প্রত্যাশা করছেন গার্দিওলা। কারণ, তিনি মনে করেন, বিশ্বকাপ আলভারেজকে আরও ভালো ফুটবলার বানিয়েছে। প্রিমিয়ার লিগে লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে আলভারেজকে নিয়ে গার্দিওলা বলেছেন, ‘আলভারেজ অসাধারণ ফুটবলার। আর্জেন্টিনাকে ধন্যবাদ। সে আরও ভালো ফুটবলার হয়ে বিশ্বকাপ থেকে ফিরেছে।’
বিশ্বকাপ যদি আর্জেন্টিনা না–ও জিততে পারত, তাতেও আলভারেজ অসাধারণ ফুটবলারই থাকত বলেই মত গার্দিওলার, ‘আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ট্রাইব্রেকার পর ফ্রান্সের বিপক্ষে হারতেও পারত। তাতে এই সত্যটা বদলে যেত না, যে আলভারেজ অসাধারণ ফুটবলার।’