প্রতিবছর একবার করে খবরে আসেন তিনি। এক বছর করে তাঁর বয়স বাড়ে এবং তিনিই থেকে যান বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী ফুটবলার। সেই ধারাবাহিকতায় আবারও সংবাদের শিরোনাম হলেন জাপানের আলোচিত ফুটবলার কাজুইউশি মিউরা।
৫৭ পেরিয়ে ৫৮ ছোঁয়ার অপেক্ষায় থাকা মিউরা নাকি পরের মৌসুমেও খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জাপানের সংবাদমাধ্যম কাইয়োদো জানিয়েছে, দেশটির চতুর্থ স্তরের ক্লাবের হয়ে মিউরা আগামী মৌসুমেও খেলতে চান।
এই খবর সত্যি হলে ৫৮ বছর বয়সেও মাঠে দেখা যাবে মিউরাকে। ৫৭ পেরোনো মিউরা আগামী ফেব্রুয়ারিতেই উদ্যাপন করবেন ৫৮তম জন্মদিন। পরের মৌসুমে মাঠে নামলে সেটি হবে মিউরার ৪০তম মৌসুম।
৫৮ ছুঁই ছুঁই বয়সে মিউরার বিরামহীন ফুটবল–যাত্রা বিস্ময়কর ঘটনাই বটে। নয়তো ৩০ পেরোতেই তো ফুটবলারদের ‘বুড়ো’ বলে ডাকা শুরু হয়ে যায়। ৩৯ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বা ৩৭ পেরোনো লিওনেল মেসির বিদায়ের গুঞ্জনও প্রায় শোনা যায়। অথচ এর মধ্যেও মিউরার যেন থামাথামির নাম নেই।
ফুটবলকে সেই ১৯৮২ সালে (পেশাদার ফুটবলে যাত্রা শুরু করেন ১৯৮৬ সালে) পায়ে জড়িয়ে নিয়েছিলেন মিউরা। এরপর কত কিছু ঘটে গেল। কতজন কিংবদন্তি হয়ে চলেও গেলেন। কিন্তু এক মিউরা আর বলটিকে ছাড়তে পারেননি। ফুটবল নামের গোলকটির সঙ্গে আর কখনো বিচ্ছেদ ঘটেনি তাঁর। এর মধ্যে ছয়টি দেশের ঘরোয়া ফুটবলে খেলা হয়ে গেছে তাঁর।
বিভিন্ন মেয়াদে তিনি ব্রাজিল, জাপান, ইতালি, ক্রোয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগালের ক্লাবগুলোয় খেলেছেন। সব মিলিয়ে তিনি খেলেছেন ১৫টি ক্লাবে। দুই মেয়াদে খেলেছেন পেলে-নেইমারের ক্লাব সান্তোসেও। যেটি তাঁর প্রথম ক্লাবও বটে। লম্বা ক্যারিয়ারে চলার পথে অনেক ভক্ত-সমর্থকও পেয়েছে মিউরা। জাপানে সবচেয়ে পছন্দের ক্রীড়াবিদ হিসেবেও পরিচিত মিউরা, অনেকে তাঁকে আদর করে ‘কিং কাজু’ বলে ডাকে।
ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলা মিউরা এর আগে বলেছিলেন, ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত খেলতে চান তিনি। যেভাবে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন, সেটা মোটেই অসম্ভব কিছু নয়। ক্লাব ফুটবলে বয়সকে হারিয়ে দেওয়া মিউরা জাপান জাতীয় দলের হয়ে তিনি ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত খেলেছেন। জাপানের জার্সিতে ৮৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে করেছিলেন ৫৫ গোল।