লিওনেল মেসি আর আল হিলালকে নিয়ে ফুটবল–বিশ্বে গুঞ্জনের কমতি ছিল না। সব গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে গত বুধবার মেসি ঘোষণা দেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যাচ্ছেন। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়কের এই ঘোষণার পর তাঁর ভক্ত আর সাধারণ ফুটবলপ্রেমীরা নেট দুনিয়ার মাধ্যমে দৌড় লাগান ইন্টার মায়ামিতে।
মেসিকে না পেয়ে আল হিলালের কর্মকর্তারা যে চুপচাপ সৌদি আরবে বসে আছেন, তা নয়; তাঁরাও ছুটছেন। এবার তাঁদের লক্ষ্য ব্রাজিলিয়ান মহাতারকা নেইমার। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিবিএস স্পোর্টসের খবর, মেসিকে না পেয়ে এবার নেইমারকে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করছে আল হিলাল।
নেইমারের ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে এরই মধ্যে আল হিলালের কর্মকর্তারা প্যারিসে পৌঁছেছেন বলেই খবর দিয়েছে সিবিএসের। আগে থেকেই গুঞ্জন আছে, ৩১ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান তারকা পিএসজি ছাড়তে চান। অন্যদিকে, আল হিলাল বড় অঙ্কের বেতনের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য তৈরি।
সব মিলিয়ে বল এখন নেইমারেরই কোর্টে। ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলকে বিদায় বলে এই বয়সেই সৌদি আরবের ফুটবলে নাম লেখাবেন কি না, নেইমারের জন্য এখন সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়।
মেসিকে দুই বছরের জন্য ৫০ কোটি ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছিল আল হিলাল। একবার শোনা গিয়েছিল, প্রস্তাবটা ৬০ কোটি ইউরোর। তবে নেইমারের প্রস্তাবটা এত বড় নয় বলেই জানিয়েছে সিবিএস স্পোর্টস। নেইমারকে বছরে ২০ কোটি ইউরোর প্রস্তাব দিতে পারে আল হিলাল।
নেইমারের বিষয়টি অবশ্য মেসির মতো নয়। পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মুক্ত খেলোয়াড় হয়ে গিয়েছিলেন মেসি। তাই তাঁকে পাওয়ার জন্য ট্রান্সফার ফির প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু নেইমারের সঙ্গে পিএসজির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ আছে ২০২৫ সাল পর্যন্ত। এ কারণে তাঁকে পেতে ট্রান্সফার ফি দিতে হবে।
সিবিএস স্পোর্টস বলছে, ট্রান্সফার ফি হিসেবে ৪ কোটি ৫০ লাখ ইউরো খরচ করতে রাজি আছে আল হিলাল। তবে এখন পর্যন্ত পিএসজির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা শুরু করেনি সৌদি ক্লাবটি।
ইউরোপিয়ান ফুটবলের মহাতারকাদের মধ্যে সবার আগে সৌদি আরবের ফুটবলে নাম লেখান ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এ বছরের জানুয়ারিতে আল নাসরে যোগ দেন তিনি। সম্প্রতি রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে সৌদি আরবের আরেক ক্লাব আল ইত্তিহাদে যোগ দিয়েছেন করিম বেনজেমা।
ফুটবল–বিশ্বে এমন খবর ভেসে বেড়াচ্ছে যে লুকা মদরিচ, সের্হিও রামোসসহ ইউরোপের ফুটবলের আরও অনেক বড় তারকার দিকে চোখ আছে সৌদি আরবের ক্লাবগুলোর। এখন দেখা যাক, কতজনকে তারা দলে টানতে পারে!