প্রায় এক বছরের বেশি সময় পর চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরার পর থেকেই আলোচনায় নেইমারের দলবদল। এ মৌসুম শেষেই ২০২৫ সালের জুনে আল হিলালের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে নেইমারের। তবে এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে তাঁর দলবদল প্রসঙ্গে আলোচনা।
সম্প্রতি নেইমারের তাঁর শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরে যাওয়ার কথা শোনা গেছে। সেই আলোচনা থামার আগে এবার শোনা যাচ্ছে তাঁর ইন্টার মায়ামিতে যাওয়ার কথা। বিশেষ করে মায়ামিতে ২ কোটি ৬০ লাখ ডলারে বাড়ি কেনার পর থেকে এই আলোচনা ডালপালা মেলেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে মায়ামিতে আবার মেসি–নেইমার পুনর্মিলনীর দেখা মিলবে।
নেইমারের সঙ্গে লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজের বন্ধুত্বের কথা কারও অজানা নয়। বার্সেলোনায় একসঙ্গে খেলার সময়ই প্রগাঢ় হয় এই ত্রয়ীর বন্ধুত্ব। ক্লাব বদলে একেকজন একেক জায়গায় যাওয়ার পরও বন্ধুত্বে ফাটল ধরেনি। বিভিন্ন সময়ে একসঙ্গে ভ্রমণে যেতেও দেখা গেছে তাঁদের।
এমনকি মেসির বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যাওয়ার ক্ষেত্রেও ভূমিকা ছিল নেইমারের। এসব দিক বিবেচনায় নেইমারের আবারও মেসি–সুয়ারেজদের সঙ্গে খেলার বিষয়টি একেবারে আকাশ–কুসুম কল্পনা নয়।
নেইমারের মায়ামিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন ইন্টার মায়ামি কোচ জেরার্দো মার্তিনোও। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘এখন কারও মায়ামিতে বাড়ি কেনার মানেই কি এখানে খেলতে আসা?
তবে মেসিসহ ছেলেরা এখানে আছে, যেকোনো কিছুই হতে পারে। আমি যা ভাবতে পারি না, সেটা হলো, যদি লিগ তার বেতনসীমার বিষয়ে আরও নমনীয় না হয়, তবে এটি কীভাবে পরিচালিত হবে?’
সংবাদমাধ্যমে লেখালেখি করলেই যে বিষয়টি বাস্তবায়ন হয়ে যাবে, তা–ও মনে করেন না মার্তিনো। এমএলএসের কঠিন নিয়মের কথা মনে করিয়ে দিয়ে মার্তিনো আরও বলেছেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে এমএলএসের নিয়ম বেশ কড়া এবং এগুলো ভাঙা যায় না। যদি না তারা নিয়ম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়। আজকের হিসাবে এটা অসম্ভব (নেইমারকে দলে টানা)। ফলে এই আলাপের কোনো ধারাবাহিকতা নেই।’
সাম্প্রতিক এসব আলোচনা বলছে, সামনের দিনগুলোয় নেইমারের দলবদলের আলোচনা নতুন রোমাঞ্চ নিয়ে হাজির হতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত অবশ্য নেইমারের ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটা জানতে মৌসুমের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।