কোপার ফাইনালের আর্জেন্টিনার কাছে হারার পর আরেকটি দুঃসংবাদ শুনেছে কলম্বিয়ার ফুটবল। মায়ামির পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ও তাঁর ছেলেকে। স্টেডিয়ামে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে মারামারির অভিযোগে আটক করা হয়েছে তাঁদের। মায়ামির পুলিশ সোমবার এই খবর জানিয়ে বলেছে, ম্যাচ শুরুর আগের দর্শক–হাঙ্গামায় জড়িত আরও ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
মায়ামি-ডেইড পুলিশের ডিটেকটিভ আন্দ্রে মার্টিন একটি বার্তা সংস্থাকে বলেন, কলম্বিয়ার ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি রামোন হেসুরুন ও তাঁর ছেলে রামোন হামিল হেসুরুনকে হার্ড রক স্টেডিয়ামের অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনায় আটক করা হয়েছে। দুজনের বিরুদ্ধে ম্যাচের দিন দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে মারামারির অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে লেখা হয়েছে, হেসুরুন ও তাঁর ছেলের ঘটনাটি ঘটেছে ম্যাচের পর মাঠে প্রবেশের টানেলে। ওই টানেলেই উপস্থিত ছিলেন সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। সে সময়ে হেসুরুন ও তাঁর ছেলেকে সেখানে আটকে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। পুলিশ জানিয়েছে, দেরি হওয়ায় ‘বিরক্ত হয়ে’ নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে তর্ক শুরু করেন দুজন।
এ সময় একজন নিরাপত্তারক্ষী রামোন হামিল হেসুরুনের বুকে হাতের তালু দিয়ে ধাক্কা দিয়ে পেছনে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর হামিল হেসুরুন সেই নিরাপত্তারক্ষীকে ঘাড় ধরে নিচে ফেলে দিয়ে দুটি ঘুষি মারেন। ওই ঘটনায় মাঝরাতে আটক করা হয় দুজনকে।
কলম্বিয়ার ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি রামোন হেসুরুনের বয়স ৭১। কনমেবলের অন্যতম সহসভাপতি হেসুরুন কলম্বিয়া ফুটবল ফেডারেশনের দায়িত্বে আছেন ২০১৫ সাল থেকেই।
দক্ষিণ আমেরিকার মহাদেশীয় ফুটবল সংস্থা ও কোপার আয়োজক কনমেবল ফাইনালের আগে মাঠের বাইরের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে। অনেক দর্শক টিকিট ছাড়া মাঠে ঢুকতে চাওয়ায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। আর সেই ঘটনায় আর্জেন্টিনা-কলম্বিয়া ম্যাচ শুরু হতে এক ঘণ্টারও বেশি দেরি হয়।