এবার দেশের মাটিতে সাফ অনূর্ধ্ব–২০ খেলতে নামছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ছবিটি গত সেপ্টেম্বরে নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের
এবার দেশের মাটিতে সাফ অনূর্ধ্ব–২০ খেলতে নামছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ছবিটি গত সেপ্টেম্বরে নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের

ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব–২০ ফুটবল

গত বছরে সেপ্টেম্বরে নেপালে মেয়েদের সাফে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন সাবিনা–শামসুন্নাহাররা। এবার দেশের মাটিতে অনূর্ধ্ব–২০ সাফের শিরোপা অভিযানে নামবে বাংলাদেশ।

আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় শুরু হচ্ছে মেয়েদের অনূর্ধ্ব–২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। এবারের টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ভারত, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশ।  

এবারের টুর্নামেন্টে লিগ পদ্ধতিতে হবে খেলা। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা দুটি দল খেলবে ফাইনালে। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে প্রথম দিনেই নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। দিনের অন্য ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে খেলবে ভুটান। এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ, একই দিনে ভুটানের প্রতিপক্ষ নেপাল। ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচের প্রতিপক্ষ ভুটান। আর অন্য ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে নেপাল। ৯ ফেব্রুয়ারি হবে ফাইনাল।

নেপালে খেলে আসা দলের ২৩ জনের মধ্যে এবার ঢাকায় খেলবেন শামসুন্নাহার জুনিয়র, স্বপ্না রানী, সোহাগী কিসকু, ইতি রানী, রুপনা চাকমা ও সাথী বিশ্বাস। গত সেপ্টেম্বরে মেয়েদের সাফের ফাইনালে নেপালকে হারানোর ক্ষেত্রে বড় অবদান ছিল ফরোয়ার্ড শামসুন্নাহার জুনিয়রের। নেপালকে ৩–১ গোল হারানোর ম্যাচে প্রথম গোলটিই করেন শামসুন্নাহার।

এ ছাড়া বাংলাদেশের গোলরক্ষক হিসেবে পোস্ট সামলাবেন রুপনা চাকমা। মেয়েদের সাফে পুরো টুর্নামেন্টে মাত্র ১টি গোল হয়েছে রুপনার বিপক্ষে। টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কারও জেতেন তিনি।

এই মেয়েদের নিয়ে ঢাকাতেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কোচ গোলাম রব্বানী, ‘এবারের সাফ নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি ভালোভাবেই চলছে। প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারত ও নেপাল দুই দলই যথেষ্ট শক্তিশালী। কিন্তু আমাদের মেয়েরাও ভালো ফুটবল খেলছে। আর যেহেতু লিগ পদ্ধতিতে খেলা হবে, এতে সবার সঙ্গে সবার খেলার সুযোগ থাকবে। মেয়েরা বেশি ম্যাচ খেলতে পারবে। ফলে ম্যাচ টেম্পারমেন্ট বাড়ানোর সুযোগ থাকছে ওদের।’