দিয়াজের গোলে জিতেছে এসি মিলান
দিয়াজের গোলে জিতেছে এসি মিলান

এসি মিলান ১: ০ টটেনহাম

টটেনহামকে হারিয়ে শেষ আটের স্বপ্ন দেখছে এসি মিলান

চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটের স্বপ্নটা এখন চাইলে দেখতেই পারে এসি মিলান। এক সময়ের ইউরোপিয়ান পরাশক্তিরা লম্বা সময় ধরে এই মঞ্চে দর্শক হয়ে ছিল। গত মৌসুমে ফিরলেও বিদায় নিতে হয়েছিল প্রথম রাউন্ড থেকে। তবে এবার শেষ আটের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে তারা। আজ শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচে ঘরের মাঠে টটেনহামকে ১-০ গোলে হারিয়েছে এসি মিলান। এই জয়ে শেষ আটের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল মিলান।

সান সিরোতে টটেনহামকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়াতে মিলানের সময় লাগে মাত্র ৭ মিনিট। ব্রাহিম দিয়াজের গোলে এগিয়ে যায় এক সময়ের ইউরোপীয় শক্তিরা। প্রথম দুটি প্রচেষ্টা টটেনহাম গোলরক্ষক ফ্রাসের ফর্সটার ফিরিয়ে দিলেও তৃতীয়টিতে আর পারেননি। এই গোলটিই জয় এনে দিয়েছে মিলানকে।

প্রতিপক্ষের মাঠে গোল খাওয়ার পর কিছুটা চাপে থাকলেও, পরে ঠিকই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে টটেনহাম। দারুণ কিছু সুযোগও তৈরি করে তারা। ১৩ মিনিটে সমতা ফেরানোর একটি সুযোগও পায়ে আন্তোনিও কন্তের দলের সামনে। সন হিউং-মিনের ক্রসে শট নিয়েছিলেন হ্যারি কেন। যদিও তা মিলান গোলরক্ষককে ফাঁকি দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।

এসি মিলানের জয় উদ্‌যাপন

একের পর এক চেষ্টা করে গেলেও কাঙ্ক্ষিত গোলটি অবশ্য শেষ পর্যন্ত পাওয়া হয়নি টটেনহামের। এদিন টটেনহামকে মূলত ভুগিয়েছে মিডফিল্ডে পিয়েরে-এমিলি হয়েবিয়ে এবং রদ্রিগো বেন্তাঙ্কুরের না থাকা। পাশাপাশি আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের মধ্যকার সমন্বয়হীনতাও ছিল চোখে পড়ার মতো।

ম্যাচে অবশ্য ব্যবধান বাড়িয়ে ম্যাচটাকে পুরোপুরি টটেনহামের নাগালের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল এসি মিলানের সামনে। তবে তারাও আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়ে পরের রাউন্ডের স্বপ্ন দেখতে হচ্ছে মিলানের ক্লাবটিকে।

ম্যাচ শেষে নিজেদের জয় নিয়ে এসি মিলান কোচ স্টেফানো পিউলি বলেছেন, ‘ছেলেরা যেভাবে খেলেছে তাতে আমি খুশি। আমরা দ্বিতীয় গোলটি করতে পারতাম, দারুণ কিছু সুযোগ এসেছিল। পারফরম্যান্স নিয়ে আমি অবশ্যই খুশি, তবে এটা মাত্র প্রথম লেগ গেল। আমি নিশ্চিত পরের লেগ আরও কঠিন হবে।’

হারের প্রতিক্রিয়ায় কন্তে বলেছেন, ‘আমার মনে হয় আজ আমরা ভালো ছিলাম। আমরা দারুণ একটি দলের বিপক্ষে খেলেছি। ভুলে গেলে চলবে না, গতবার তারা (এসি মিলান) ইতালিয়ান লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।’