চলমান প্রিমিয়ার লিগে ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট মোহামেডানের। জয় মাত্র ৩ ম্যাচে। বাকি ৩ মাচে ড্র, হার ৪টিতে। পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে সাদা-কালো দলটি। প্রিমিয়ার লিগে নবাগত ফর্টিস এফসির কাছে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ৪-৩ গোলে হেরেছিল সাদা-কালোরা। এর পর থেকেই গুঞ্জন মোহামেডানের কোচের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে শফিকুল ইসলাম মানিককে। ক্লাব সূত্রের খবর, মানিককে সরিয়ে দেওয়ার গুঞ্জনটা সত্যি। তাঁকে সরিয়ে কোচ অন্তর্বর্তীকালীন কোচ করা হচ্ছে সাবেক ফুটবলার আলফাজ আহমেদকে। তবে এ ব্যাপারে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি মোহামেডান ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে মোহামেডানের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন। ৫ মার্চ ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে তাঁর। তিনি দেশে ফিরলে ৬ মার্চ কোচের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।
আলফাজই কোচ হচ্ছেন কি না, এই ব্যাপারে অবশ্য সরাসরি কিছু বলতে রাজি হলেন না মোহামেডানের ম্যানেজার ও সাবেক স্ট্রাইকার ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব। তবে তিনি জানিয়েছেন, ‘পরবর্তী কোচের ব্যাপারে ক্লাবের সভায় একরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েই গেছে। শুধু আলমগীর ভাই এসে ৬ মার্চ সেই ঘোষণাটা দেবেন। আমি তাই এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’ এর আগে ২০২০ সালে মোহামেডানের সহকারী কোচ ছিলেন আলফাজ। তখন তিনি ছিলেন ইংলিশ কোচ শন লিনের অধীন।সমর্থ
জাতীয় দলের সাবেক তারকা আলফাজ ফুটবল ছেড়েছেন সেই ২০১৩ সালে। ২০০৮ সালে জাতীয় দল থেকে বিদায়ের পর ঘরোয়া ফুটবলে খেলেছেন আরও পাঁচ বছর। মোহামেডানের জার্সি গায়েই খেলেছেন বেশির ভাগ সময়। দীর্ঘ ফুটবল ক্যারিয়ারে মোহামেডান, আবাহনী, মুক্তিযোদ্ধা, ব্রাদার্স—সব বড় ক্লাবেই খেলেছেন এই তারকা ফুটবলার। তবে ১৯৯৫ সালে মোহামেডানে যোগ দিয়েই নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যান তিনি। ১৯৯৯ সালে অধিনায়ক হিসেবে লিগ জিতিয়েছিলেন সাদা-কালো শিবিরকে।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে মোহামেডান সমর্থকদের জন্য বিরাট এক হতাশার নাম। ২০০২ সালে ঢাকা লিগ জেতার পর মোহামেডান পায়নি কোনো লিগ শিরোপা। পেশাদার ফুটবল লিগ শুরুর পর এখনো শিরোপাজয়ের তালিকায় নাম ওঠাতে পারেনি এক সময়ের দর্শকপ্রিয় ক্লাবটি। ২০১৯ সালে ক্যাসিনো-কাণ্ড ক্লাবের সুনামকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। দলে সে অর্থে কোনো পরিচিত মুখ নেই। দায়িত্ব পেলে আলফাজ মোহামেডানে কতখানি সাফল্য এনে দিতে পারেন, সেটিই দেখার বিষয়।