তাহলে আসলেই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে চাইছে আতলেতিকো মাদ্রিদ!
গোটা ক্যারিয়ারে এই আতলেতিকোকে কম যন্ত্রণা দেননি রোনালদো। এই রোনালদো না থাকলে হয়তো আতলেতিকোর কোচ হিসেবে দিয়েগো সিমিওনে আরও কয়েকটা শিরোপা জিততেন, পেতেন অধরা চ্যাম্পিয়নস লিগের স্বাদ। সেটা হয়নি। ক্যারিয়ারে এই আতলেতিকোর বিপক্ষেই সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন রোনালদো (৩৫টি), ২৫ গোল করে তাদের ‘জ্বালিয়েছেন’ও সবচেয়ে বেশি।
শুধু তা–ই নয়, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগে আতলেতিকো প্রতিবার সে দলের কাছে হেরেই বিদায় নিয়েছে, যে দলে রোনালদো খেলেছেন। সেই ‘শত্রু’ রোনালদোকে পাওয়ার জন্যই এবার নিজেদের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কেও হারাতে আপত্তি নেই আতলেতিকোর।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘দ্য টাইমস’ অন্তত সেটাই বলছে। সাংবাদিক ডানকাল ক্যাসলসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিজেদের অন্যতম সেরা তারকা আঁতোয়ান গ্রিজমানকে বিক্রি করতে রাজি আতলেতিকো। কারণ একটাই, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে যেন দলে টানা যায়! যুক্তরাষ্ট্রের নিউজ নেটওয়ার্ক সিবিএসের বরাত দিয়ে স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক এএস–এর মধ্যেই খবর দিয়েছে, ইউনাইটেডে নিজের বর্তমান বেতন ৩০ শতাংশ কমিয়ে হলেও অন্য কোনো ক্লাবে যেতে চান রোনালদো। বেতন কমিয়ে আতলেতিকোতে যেতেও আপত্তি নেই তাঁর। কিন্তু রোনালদো যতই বেতন কমান, নিজেদের বাড়তি বেতনের বোঝা না কমালে রোনালদোর মতো কাউকে দলে টানতে পারবে না রোজোব্লাঙ্কোরা।
আপাতত বার্সেলোনা থেকে ধারে আতলেতিকোতে খেলছেন গ্রিজমান। গত বছর ফরাসি এই ফরোয়ার্ডকে দুই বছরের ধার চুক্তিতে দলে টেনেছে আতলেতিকো। চুক্তি শেষ হবে আগামী বছর, তখন চার কোটি ইউরোর বিনিময়ে গ্রিজমান আতলেতিকোতে পাকাপাকিভাবে যোগ দেবেন।
আপাতত রোনালদোর আশায় সে কাজটা করতে চাইছে না আতলেতিকো। এখনই অন্য কোনো ক্লাবে গ্রিজমানকে পাঠানোর চেষ্টায় রয়েছে দলটা। সে লক্ষ্যে এর মধ্যে পিএসজিসহ বেশ কয়েকটা ক্লাবকে প্রস্তাবও পাঠিয়েছে তারা।
তবে মার্কার আতলেতিকো মাদ্রিদ–বিষয়ক প্রতিনিধি দাভিদ মেদিনা জানিয়েছেন, গ্রিজমান ও জোয়াও ফেলিক্স, এ দুজনকে বিক্রি করার কোনো ইচ্ছাই নেই আতলেতিকোর। এ দুজনের চেয়ে বরং আরেক ফরোয়ার্ড আলভারো মোরাতার ক্লাব ছাড়ার সম্ভাবনাই বেশি।
দিয়ারিও এএস–এর সাংবাদিক মানু সাইঞ্জ জানিয়েছেন, মোরাতাকে বিক্রি করার চেষ্টায় আছে আতলেতিকো। সেটা হলেই রোনালদোকে দলে টানার রাস্তাটা অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।