এ বছরের মে মাস পর্যন্ত তিনি ছিলেন রিভার প্লেটের খেলোয়াড়। জুলাইয়ে তাঁকে ২ কোটি ইউরোরও কম দলবদল ফিতে দলে ভেড়ায় পর্তুগালের ক্লাব বেনফিকা।
সেই এনজো ফার্নান্দেজকে পেতেই এখন ইংল্যান্ডের দুই পরাশক্তি ক্লাব লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড লড়াইয়ে নেমেছে। শেষ পর্যন্ত যে দলই তাঁকে পাক, বেনফিকা পরিষ্কার করেই জানিয়ে দিয়েছে, ফার্নান্দেজকে পেতে খরচ করতে হবে ১২ কোটি ইউরো!
দলবদলের বাজারে ফার্নান্দেজের চাহিদা আর দাম যে তরতরিয়ে বাড়বে, সেটা কাতার বিশ্বকাপ চলাকালেই বোঝা গিয়েছিল। আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের বিশ্বকাপ শিরোপাখরা ঘোচাতে মাঝমাঠে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন বুয়েনস এইরেসের সান মার্তিনে জন্ম নেওয়া ২১ বছর বয়সী এই ফুটবলার। হয়েছেন বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়।
সান মার্তিনের অলিগলিতে খেলতে খেলতেই স্থানীয় ক্লাব লা রেকোভার এক স্কাউটের চোখে পড়ে যায় ৪ বছরের ফার্নান্দেজ। ২০০৫ সালে ছোট্ট ফার্নান্দেজকে ক্লাব লা রেকোভায় নিয়ে যান ওই স্কাউট। সেখানেই ফুটবলের হাতেখড়ি ফার্নান্দেজের। এরপর ৫ বছর বয়সে জায়গা হয় আর্জেন্টিনার বিখ্যাত ক্লাব রিভার প্লেটে। ১৮ বছর বয়সে রিভার প্লেটের যুব দল থেকে ফার্নান্দেজ জায়গা পান মূল দলে।
এ বছরই রিভার প্লেট থেকে নাম লেখান বেনফিকায়। পর্তুগালের ক্লাবটি ফার্নান্দেজের মধ্যে প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঠিকই টের পেয়েছিল। আর না হলে কি ১৮ বছরের একজন মিডফিল্ডারের রিলিজ ক্লজ ১২ কোটি ইউরো করে তারা!
বিশ্বকাপের ঠিক পরপরই ফার্নান্দেজকে পেতে বেনফিকার দরজায় কড়া নাড়ে লিভারপুল। আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডারের জন্য বেনফিকাকে তারা ১০ কোটি ইউরোর প্রস্তাব দেয়। এত দিনে ফার্নান্দেজ যে অমূল্য এক সম্পদে পরিণত হয়েছেন, সেটা বেনফিকা ভালো করেই বুঝতে পেরেছে। এ কারণেই তারা লিভারপুলকে জানিয়ে দিয়েছে, ১২ কোটি ইউরোর এক পয়সা কমেও ফার্নান্দেজকে পাওয়া সম্ভব নয়।
সুযোগ বুঝে ফার্নান্দেজকে পাওয়ার দৌড়ে নামে ইউনাইটেড।
ব্রিটিশ গণমাধ্যমের খবর, ইউনাইটেড ১২ কোটি ইউরো রিলিজ ক্লজ দিয়েই ফার্নান্দেজকে পেতে রাজি আছে। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত ফার্নান্দেজকে কোন দল পায়—লিভারপুল, নাকি ইউনাইটেড। তা যে দলই ফার্নান্দেজক পাক, বেনফিকার সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ১২ কোটি ইউরোতে বিক্রি হলে এর থেকে ৩ কোটি ইউরোর কিছু বেশি পাবে রিভার প্লেট।