কে বেশি ভালো খেলোয়াড়—কিলিয়ান এমবাপ্পে নাকি আর্লিং হলান্ড। বিশ্বজোড়া ফুটবলপ্রেমীরা এমন আলোচনা আর তুলনা নিজেদের প্রিয় তারকাদের নিয়ে হরহামেশা করেন। এসব নিয়ে তর্ক-বিতর্কও কম হয় না। চায়ের কাপে নিয়মিতই ঝড় ওঠে। শুধু কি সাধারণ ভক্ত-সমর্থকেরাই এসব নিয়ে আলোচনা বা তর্ক-বিতর্কে মাতেন?
রিয়াল মাদ্রিদের ভেতরকার একটি খবর শুনলে এর উত্তরটা পাওয়া যাবে। কিলিয়ান এমবাপ্পে নাকি আর্লিং হলান্ড—কে বেশি ভালো খেলোয়াড়, সম্প্রতি এ নিয়ে এক বিতর্কে মেতেছিলেন রিয়ালের তিন তারকা ফুটবলার জুড বেলিংহাম, এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা ও অরেলিয়াঁ চুয়ামেনি।
পিএসজির ফরাসি তারকা এমবাপ্পের এ মৌসুম শেষেই রিয়াল মাদ্রিদে নাম লেখানোটা প্রায় নিশ্চিত। স্পেন ও ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সবকিছুই ঠিক হয়ে গেছে। মুক্ত খেলোয়াড় হিসেবে এমবাপ্পের রিয়ালের সঙ্গে চুক্তিতে স্বাক্ষর করাটাই শুধু বাকি আছে।
রিয়ালে এরই মধ্যে খেলছেন এমবাপ্পের ফ্রান্স দলের সতীর্থ ফারলাঁ মেন্দি, কামাভিঙ্গা ও চুয়ামেনি। তাঁরা নিশ্চিতভাবেই এমবাপ্পের পক্ষে কথা বলবেন। তাঁদের সঙ্গে তর্কে জড়ানো বেলিংহাম হয়তো ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজিয়ান তারকা হলান্ডের পক্ষ নেবেন। কারণ, বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে একটা সময় তাঁরা সতীর্থ ছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেন্সর করা এক ভিডিওতে রিয়ালের তিন খেলোয়াড়ের আলোচনা শুনে এটাই স্পষ্ট হয়েছে যে বেলিংহাম হলান্ডের পক্ষ নিয়েছেন আর কামাভিঙ্গা ও চুয়ামেনি বলেছেন এমবাপ্পের কথা।
হলান্ড সম্পর্কে বেলিংহাম প্রথমে বলেছেন, ‘ভাই, সে অসাধারণ।’ এর উত্তরে চুয়ামেনি এমবাপ্পের পক্ষে বলেন, ‘সে অসাধারণ খেলোয়াড়।’ এরপর বেলিংহামের জবাব ছিল এ রকম, ‘সে (হলান্ড) অবিশ্বাস্য।’ এবার চুয়ামেনির কথা, ‘আমাদের এতে কিছু এসে যায় না!’ কামাভিঙ্গা এগিয়ে এসে বলেন, ‘ভাই, চুপ করো।’ এ পর্যায়ে চুয়ামেনি আবারও বলেন, ‘কিন্তু আমাদের কিছু আসে যায় না।’
বিতর্কের এ পর্যায়ে হাল না ছেড়ে বেলিংহাম আবার বলেন, ‘কিন্তু সে তোমাদের ওর থেকে ভালো!’ চুয়ামেনির প্রশ্ন, ‘কে?’ বেলিংহাম এখানে নামটি বলেছেন, কিন্তু সেই অংশটা সেন্সর করা হয়েছে। তবে বুঝতে কারও বাকি থাকার কথা নয় বেলিংহাম কার নাম বলেছেন। নিশ্চয়ই হলান্ড হবে, আর না হলে চুয়ামেনি বলতেন না, ‘যথেষ্ট হয়েছে, দয়া করে চুপ করো...চুপ করো, চুপ করো, চুপ করো!’