৮ নম্বর জার্সি ক্রুসের, তাই ১৮ নিয়েছেন চুয়ামেনি
৮ নম্বর জার্সি ক্রুসের, তাই ১৮ নিয়েছেন চুয়ামেনি

সবচেয়ে দামি চুয়ামেনি, খরচে এগিয়ে ইংলিশ ক্লাবগুলো

ইউরোপীয় ফুটবলে শীতকালীন দলবদলে চলছে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। আগামী মঙ্গলবার রাতে ফুরাবে খেলোয়াড় কেনাবেচার সময়সীমা।

এবারের শীতকালীন দলবদলে মূলত খেলোয়াড়দের কাতার বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করেছে ক্লাবগুলো। তবে ইউক্রেন বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ না পেলেও দেশটির উইঙ্গার মিখাইলো মুদরিক এখন পর্যন্ত নতুন বছরের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়। তরুণ উইঙ্গারকে শাখতার দোনেৎস্ক থেকে নিয়ে এসেছে চেলসি। তাঁর দাম ৮০৬ কোটি ৮৫ লাখ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামি কোডি গাকপোকে নিয়েছে আরেক ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল।

শুধু এ বছর নয়, গত বছরও খেলোয়াড় কেনার খরচে এগিয়ে ছিল ইংলিশ ক্লাবগুলো। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার ফিফার তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক দলবদলে অঢেল অর্থ ঢেলেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসির মতো পরাশক্তিরা। অঙ্কটা চোখ কপালে তোলার মতো—২৩ হাজার ৩৫০ কোটি ২৫ লাখ ৬৮ হাজার, যা অন্য যেকোনো দেশের ক্লাবগুলোর চেয়ে তিন গুণ বেশি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭ হাজার ১২১ কোটি ৯৩ লাখ ৩ হাজার টাকা খরচ করেছে ইতালিয়ান ক্লাবগুলো।

মিখাইলো মুদরিক

২০২২ সালের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় ছিলেন অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি। ফরাসি মিডফিল্ডারকে ৯২২ কোটি টাকায় এএস মোনাকো থেকে নিয়ে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। শীর্ষ ১০ দামি খেলোয়াড়ের পেছনে ১২.৫% অর্থ ব্যয় করেছে ক্লাবগুলো, টাকার অঙ্কে যা ৬৮ হাজার ৭৭৬ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি।

সবচেয়ে দামি ১০ খেলোয়াড়ের ৬ জনকেই কিনেছে ইংলিশ ক্লাবগুলো। খেলোয়াড় কেনার খরচে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এ তালিকায় দুইয়ে আছে বার্সেলোনা। সবচেয়ে বেশি খরচ করা সাত ক্লাবের পাঁচটিই ইংল্যান্ডের। ইউনাইটেডের পর আছে লিভারপুল, নিউক্যাসল, ওয়েস্ট হাম ইউনাইটেড ও উলভারহাম্পটন।

রুশ আগ্রাসনের জেরে সর্বোচ্চ ৫১ ফুটবলার ইউক্রেনীয় ক্লাব ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি জমিয়েছে।

২০২২ সালে সবচেয়ে দামি ১০ দলবদল

১. অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি (মোনাকো থেকে রিয়াল মাদ্রিদ)
২. দারউইন নুনিয়েজ (বেনফিকা থেকে লিভারপুল)
৩. আন্তোনি (আয়াক্স থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)
৪. কাসেমিরো (রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)
৫. মাথিয়াস ডি লিখট (জুভেন্টাস থেকে বায়ার্ন মিউনিখ)
৬. ফেরান তোরেস (ম্যানচেস্টার সিটি থেকে বার্সেলোনা)
৭. আর্লিং হলান্ড (বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ম্যানচেস্টার সিটি)
৮. আলেকসান্দার ইসাক (সোসিয়েদাদ থেকে নিউক্যাসল)
৯. লুইস দিয়াজ (এফসি পোর্তো থেকে লিভারপুল)
১০. রাফিনিয়া (লিডস থেকে বার্সেলোনা)