র্যাম্বো: ফ্লার্স্ট ব্লাড সিনেমায় শেষ দিকের দৃশ্য। বুলেটের ভাষায় ক্ষোভের উদ্গিরণ শেষে জন র্যাম্বো ফোঁপাচ্ছিলেন। পাশেই একসময়ের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল স্যাম ট্রাউটম্যান। র্যাম্বোর র্যাম্বো হয়ে ওঠার নেপথ্য কারিগর। ট্রাউটম্যান এ কথা-সে কথা বলে র্যাম্বোকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। একবার জানতে চাইলেন, ‘বেকার কোম্পানির বাকিদের কী খবর?’
‘সবাই মারা গেছে, স্যার।’
র্যাম্বোর সঙ্গে এভারিস্তো দে মাচেদো ফিলিওর মিল-অমিল দুটোই আছে। এভারিস্তোও একরকমের যোদ্ধা। র্যাম্বোর মতোই পায়ে বুট, তবে অস্ত্রশস্ত্র লাগেনি। এভারিস্তো হলেন ফুটবলার। পঞ্চাশের শেষ থেকে ষাটের দশকের শুরুতে বার্সেলোনার আক্রমণে শেষ ‘কমান্ডার’। একাই এক শ হয়তো ছিলেন না, র্যাম্বোর পাশে যেমন ডেলমার, মেসনার, ওর্তেগারা ছিলেন; এভারিস্তোরও বাঁয়ে জোলতান চিবোর, ডানে লাসলো কুবালা। ওঁরা হাঙ্গেরিয়ান কিংবদন্তি। আর পেছনে স্পেনের একমাত্র ব্যালন ডি’অরজয়ী লুইস সুয়ারেজ। আহ, সুয়ারেজ!
এভারিস্তো সম্ভবত তাঁকেই বেশি নম্বর দেবেন। তা কি শুধুই পাসগুলোর জন্য? সুয়ারেজ যত দিন ছিলেন, এভারিস্তোও জানতেন আরও একজন আছেন, পৃথিবীর অন্য কোথাও। রিও ডি জেনিরোর ইপানেমা অ্যাপার্টমেন্টে এখন নাতিদের সঙ্গে সময় কাটে এভারিস্তোর। আনন্দ আছে, দুঃখও কি নেই কিছুটা? সেটা তো সবারই থাকে। জীবন উপভোগ করতেও মনে হয় তা একটু লাগে। এভারিস্তোও মাঠের ‘যুদ্ধ’ শেষে জীবনটা উপভোগ করছিলেন, দুই বছর আগে বিবিসিকে বলেছিলেন, ‘ফুটবল, ফ্লামেঙ্গো, পরিবার ও বন্ধুরা, এটাই আমার জীবন।’
কিন্তু জীবন মুচকি হেসেছে।
গত মার্চে চলে গেল বড় ছেলে এভারিস্তো জুনিয়র, তাঁর জন্ম কাতালুনিয়ায়। যেখানে এভারিস্তোর ক্যারিয়ারের সেরা সময়। আর সুয়ারেজ হয়েছিলেন কাতালুনিয়ায় সেই দিনগুলোর স্মৃতিবাহী ‘আদার ওয়ান’। গত সপ্তাহে সেই সুয়ারেজও এপার-ওপার দলবদল সেরে নেওয়ায় এভারিস্তোকে এখন কী বলবেন?
‘দ্য ওনলি ওয়ান’? অন্য অর্থে কথাটার মানে কিন্তু একা, ভীষণ একা।
৯০ বছর বয়সী একটা মানুষের ৫৬ বছর কেটেছে ফুটবলে। আর এই খেলার সঙ্গে জীবনের গতিধারাও বদলেছে অবশ্যম্ভাবীভাবেই। এভারিস্তোর তিন সন্তানের জন্ম ফুটবলের তিন তীর্থে, এভারিস্তো জুনিয়রের কাতালুনিয়ায়, লুই অগাস্তোর রিও ডি জেনিরোয় আর মারিয়া মার্সিদেজের মাদ্রিদে। এই তিন শহরের ফ্রেমেই এভারিস্তোর ক্যারিয়ারের প্রায় সবটা। তার মধ্যে কাতালুনিয়ার দিনগুলো ভালো-মন্দ দুই অর্থেই ভাস্বর। শুধু দুবার লা লিগা জয় নয়, ১৯৬০-৬১ ইউরোপিয়ান কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে দুই লেগের সেই ক্ল্যাসিকো!
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রথম লেগ ২-২ গোলে ড্র। সুয়ারেজ করেছিলেন জোড়া গোল। ক্যাম্প ন্যুতে ফিরতি লেগে ম্যাচ যখন ১-১ গোলে সমতায় আর ৮ মিনিট বাকি, তখন এভারিস্তোর উড়ন্ত হেডে শুধু গোলই হয়নি, পরে সেই গোলের ছবি ঠাঁই পেয়েছে বার্সার ড্রেসিংরুমে। আর টানা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল সেদিন বিদায় নিয়েছিল নিজেদের ‘সাম্রাজ্য’ থেকে। ইউরোপিয়ান কাপে টানা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের সেই প্রথম ট্রফি না নিয়েই বিদায়। ফাইনালে হারের আগেই বার্সার সমর্থকদের কাছে অমরত্ব পেয়ে যান ককসিস-কুবালা-সুয়ারেজরা। এভারিস্তো বার্সার সেই দলটির একমাত্র জীবিত সদস্য।
ট্রাউটম্যানের কাছে ফেরা যাক।
বেকার টিমের সবাই মারা গেছেন জানার পর ট্রাউটম্যান বলেছিলেন, ‘ডেলমার বেরি? সে তো বেঁচে গিয়েছে।’ র্যাম্বো জানায়, ‘সে-ও মারা গেছে স্যার। ভিয়েতনামেই, টেরও পায়নি ক্যানসার ওর হাড়ে পৌঁছে গিয়েছিল। ট্রাউটম্যানের দুঃখ প্রকাশ র্যাম্বোর বুকে জ্বলতে থাকা আগুনকে যেন আরও উসকে দিয়েছিল। বিড়বিড় করে শুধু বলেছে, ‘শুধু আমিই বেঁচে আছি, স্যার।’
৯ জুলাই সুয়ারেজের মৃত্যুর পর এভারিস্তোরও কি তেমন লাগেনি? জীবন বার্ধক্যে চড়ে বসলে মানুষ নাকি অতীতচারী হয়। রোববার ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের চিরন্তন ক্ল্যাসিকো ‘ফ্লু-ফ্লা’ অর্থাৎ ‘ফ্লুমিনেন্স-ফ্ল্যামেঙ্গো’ ম্যাচ নিয়েও টুইট করেছেন অতীতের এক দ্বৈরথের ছবি। আর সুয়ারেজ মারা যাওয়ার পর টুইট করেছেন একাধিক। এভারিস্তোর তাই ওই সময়টা মনে না পড়ে পারেই না, বয়স হলে যেহেতু কথা বলার লোক কমে, হয়তো আপন মনেই বিড়বিড় করেন, ‘কুবালা গেল, চিবোর গেল...সুয়ারেজও থাকল না, জানলও না কিসে মরল, শুধু আমিই বেঁচে আছি…।
এভারিস্তোর ট্রাউটম্যান নেই। আছে নাকি! নিঃসঙ্গতায় সবাই নিজের যে পরম সত্তার দুয়ারে দাঁড়ায়, তাঁকে যদি ‘স্যার’ বলা যায়, তবে এভারিস্তোর ‘ট্রাউটম্যান’কে আপনিও জানেন। উত্তর দেওয়ার কেউ না থাকলে আমরা ‘তাঁর’ কাছেই যাই। এভারিস্তো নিশ্চয়ই এখনো সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজেন। ব্রাজিল দলে আর কেন খেলা হলো না?
১৯৩৩ সালে রিও ডি জেনিরোয় জন্ম। রাস্তাঘাটে ফুটবল খেলেছেন মনের আনন্দে। আর চাচার সঙ্গে দেখতে গেছেন ফ্ল্যামেঙ্গোর ম্যাচ। ফ্ল্যামেঙ্গো এভারিস্তোর প্রাণের ক্লাব। ১৭ বছর বয়সে শখের বশে এক বন্ধুর সঙ্গে স্থানীয় মাদুরেইরা ক্লাবে গিয়েছিলেন ট্রায়াল দিতে। মাপে ছোট বুটে এভারিস্তোর পা দুটো মচকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল, তবু মন গলেছিল মাদুরেইরার কর্মকর্তাদের। এভারিস্তোকেও ওঁরা নিয়ে নেয়। দুই বছরের মধ্যে ৩৫ ম্যাচে ১৮ গোল। মারাকানায় (ফ্লুমিনেন্স) জাতীয় দলের গোলকিপার কাস্তিলিওর বিপক্ষেও গোল করেছিলেন, এভারিস্তো এই মাঠেই ‘মারাকানাজো’ দেখেছেন চোখের সামনে। ১৯৫২ হেলসিংকি অলিম্পিকে ডাক পেলেন ব্রাজিল দলে। এটুকু পড়ে মনে হতে পারে কী দুর্দান্ত ক্যারিয়ার সামনে! হ্যাঁ, এভারিস্তো ব্রাজিলের সর্বকালের সেরা স্ট্রাইকারদের একজন, কিন্তু জাতীয় দলে সেই ছাপ বেশি রাখতে পারেননি। ১৪ ম্যাচে ৮ গোল।
হেলসিংকি থেকে ফিরে এভারিস্তো যোগ দেন ফ্ল্যামেঙ্গোয়। টানা তিনবার রিও স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতিয়ে ক্লাব কিংবদন্তি হয়ে ওঠার পথে ডাক পান ১৯৫৭ কোপা আমেরিকার ব্রাজিল দলে। গারিঞ্চা-নিল্টন সান্তোসদের নিয়ে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ৯-০ গোলে জয়ের ম্যাচে একাই করলেন ৫ গোল! ব্রাজিলের জার্সিতে এই রেকর্ড, এই ‘মানিতা’ (এক ম্যাচে ৫ গোল) শুধু এভারিস্তোরই। পেলে-গারিঞ্চা-রোনালদোরাও পারেননি। কিন্তু লিমায় ৩ এপ্রিল ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে ৩-০ গোলের যাচ্ছেতাই হার হেরেছিল ব্রাজিল। সেই হারের এক সপ্তাহের মধ্যে বার্সেলোনার হয়ে যান এভারিস্তো। ব্রাজিলের এক সংবাদমাধ্যম ঘোষণাটা দিয়েছিল, আর এভারিস্তো তা নিশ্চিত করেন পেরুতে থাকতেই।
বার্সার টেকনিক্যাল সেক্রেটারি হোসে সামিতিয়ের আগেই ব্রাজিলে গিয়ে এভারিস্তোকে পছন্দ করে এসেছিলেন। তাঁর বাবাকে এমন প্রস্তাব দিয়েছিলেন এভারিস্তোর ভাষায় যা ‘ফিরিয়ে দেওয়া অসম্ভব ছিল’। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, বছরে ৬ হাজার পাউন্ড। বাসা থেকে মার্সিডিজ, সব পেয়েছিলেন এভারিস্তো। বিনিময়ে বার্সাকে এনে দিয়েছিলেন দুটি লা লিগা, দুটি ফেয়ার কাপ (উয়েফা কাপের পূর্বসুরি) ও একটি কোপা দেল রে। কিন্তু এভারিস্তোর হতাশা অন্য জায়গায়, ‘২৪ বছর বয়সে আমি বার্সেলোনার কাছে বিক্রি হই, এরপর আর কখনো ব্রাজিলের জার্সি পরতে পারিনি।’
১৯৫৭ সালের ১৩ ও ২১ এপ্রিল পেরুর বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দুই লেগ খেলার পর এভারিস্তো নিশ্চিত ছিলেন, ১৯৫৮ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের একাদশে থাকবেন। কিন্তু স্পেন সেই বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়নি, কোপা দেল রে চলেছে বিশ্বকাপের সময় আর গুঞ্জন আছে, স্পেনের নাগরিকত্ব নেওয়ার প্রস্তাবে রাজি হননি, এসব মিলিয়ে বার্সা বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় এভারিস্তোর আর ’৫৮ বিশ্বকাপে খেলা হয়নি। অথচ বাছাইপর্বেও ছিলেন দলের এক নম্বর স্ট্রাইকার। ’৫৮ বিশ্বকাপের জন্য চূড়ান্ত দল ঘোষণার আগে ব্রাজিল থেকে ফোন পেয়েছিলেন এভারিস্তো। জাতীয় দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর কার্লোস নাসিমেন্তো ফোনে এভারিস্তোকে বলেছিলেন, বিশ্বকাপের জন্য দলের অনুশীলন শুরু হবে। বার্সা যেন তাঁকে খেলার অনুমতি দেয়। চুক্তিতে শর্ত থাকার পরও বার্সা সেই অনুমতি তাঁকে দেয়নি। এভারিস্তো ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনকে (সিবিএফ) তা জানানোর পর নাসিমেন্তো আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘আহা! ফিওলা (ব্রাজিল কোচ) ভেবেছিলেন, ওকে (এভারিস্তো) সান্তোসের সেই বল পায়ে ভালো কালো ছেলেটার পাশে খেলাবেন।’
’৫৮ বিশ্বকাপে ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হলো, সেই আনন্দের ঢেউয়ে এভারিস্তোও ভেসে গিয়ে বিস্মৃতিতে ডুবলেন। ব্রাজিল দলে আর কখনো খেলা হয়নি। চার বছর পর ছাড়লেন বার্সেলোনাও (১৯৬২)। এবার একেবারে রিয়াল মাদ্রিদে! সরাসরি এভাবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবে যাওয়া নিয়ে কলহ হয়েছিল প্রচুর। সমর্থকেরা কিন্তু বোর্ডকে দুষেছিলেন। বার্সায় খেলা প্রথম ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারটিকে কাতালান সমর্থকেরা ভালোবেসেছিল। আর বার্সার ওয়েবসাইটে লেখা আছে এভারিস্তো ‘বার্সেলোনার সর্বকালের অন্যতম সেরা বিদেশি সাইনিং’।
রিয়ালের অফিশিয়াল সাইটেও ডি স্টেফানো, পুসকাসদের মতোও এভারিস্তোর নামের পাশে লেখা ‘ফুটবল কিংবদন্তি’। হাঁটুর চোটে পড়ায় রিয়ালের হয়ে বেশি দিন খেলতে পারেননি। ১৯ ম্যাচে ৬ গোল। তবে দুই মৌসুমেই লিগ জিতেছিলেন। এভারিস্তো এরপর ফ্ল্যামেঙ্গোয় ফিরে লিগ জিতে অবসর নিলেন। কোচ হিসেবেও সাফল্য এন্তার।
ব্রাজিলের ঘরোয়া ফুটবলে প্রচুর শিরোপা জিতেছেন। ১৯৮৫ সালে কোচ হলেন ব্রাজিল জাতীয় দলের। কিন্তু ছাঁটাই হলেন এক মাসের ভেতর। ৬ ম্যাচে ৩ হারের পাশাপাশি এভারিস্তোর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, দেশের বাইরের লিগে খেলা কাউকে দলে নেওয়ার বিপক্ষে ছিলেন। এভারিস্তো আসলে তাঁর নিজের সঙ্গে হওয়া অন্যায় মনে রেখেছিলেন। তবে ’৮৬ বিশ্বকাপে কোচ এভারিস্তোকে দেখা গিয়েছিল। প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের ছেলের প্রস্তাবে ‘হ্যাঁ’ বলে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ইরাকের।
এভারিস্তো ক্যাম্প ন্যুতে প্রথম অফিশিয়াল ম্যাচের গোলদাতা, প্রথম হ্যাটট্রিকম্যানও। বার্সেলোনায় রোনালদো ও রোমারিও মিলেও তাঁর চেয়ে বেশি গোল করতে পারেননি। অফিশিয়ালি ১৫১ ম্যাচে ১০৫ গোল, সব মিলিয়ে ২৩৭ ম্যাচে ১৮১। বার্সায় অন্তত ৫০ ম্যাচ খেলা ব্রাজিলিয়ানদের মধ্যে ম্যাচপ্রতি গড় গোলের হিসাবে এভারিস্তোই এগিয়ে। নেইমার-রিভালদোরাও পেছনে। ব্রাজিলের সংবাদকর্মী মিল্টন নেভেস লিখেছিলেন, ‘ষাটের দশকে (ব্রাজিলে) ঘরে ঘরে টিভি থাকলে তিনি (এভারিস্তো) রোনালদোর মর্যাদা পেতেন।’
তবে এসব কিছু ছাপিয়ে এভারিস্তোর কষ্ট বলে যদি কিছু থেকে থাকে, সেটা ব্রাজিল জাতীয় দল।
১৯৫৮ বিশ্বকাপে ব্রাজিল কোচ ভিসেন্তে ফিওলা যে কালো ছেলেটির পাশে এভারিস্তোকে খেলাতে চেয়েছিলেন, তিনি ‘কালো মানিক’ পেলে।
সান্তোস ইউরোপ সফরে বের হওয়ার পর পেলের সঙ্গে এভারিস্তোর সাক্ষাৎ হয়েছিল। বিপক্ষে খেলেছিলেন।
এভারিস্তো একবার বলেছিলেন, ‘তখন টিভি...ইন্টারনেট ছিল না। বার্সেলোনায় বেশ নিজের মতো ছিলাম। আটলান্টিকের ওপারে পেলে নামে ছোট্ট কালো ছেলেটার খবর পাইনি।’
৯০ বছর বয়সী এভারিস্তোর এখন নিশ্চয়ই আর খারাপ লাগে না। মনে মনে ঠিকই হয়তো প্রস্তুতি সেরে রেখেছেন। জীবন তাঁকে পেলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে দেয়নি। মরণ ফাঁকি দেবে না।