সাফের সেমিফাইনালে উঠতে ভুটানের সঙ্গে ড্র করলেই চলছে, এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি আজ। ১২ মিনিটে গোল খেয়ে বসে বাংলাদেশ। তবে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে প্রথমার্ধের বাকি সময়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে হাভিয়ের কাবরেরার দলই।
তিন তিনটি গোল করে প্রথমার্ধ শেষে বাংলাদেশ যেন উড়ছে বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে। পরের ৪৫ মিনিটে বড় কোনো নাটকীয়তা না ঘটলে শেষ চারে উঠতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
সর্বশেষ ২০০৯ আসরে সাফের সেমিফাইনালে খেলেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
শুরুতে গোল হজমের পর ২২ মিনিটেই বাংলাদেশকে সমতা এনে দেন শেখ মোরছালিন। তরুণ মিডফিল্ডার বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শটে ১-১ করেন। ব্যবধান ২-১ হয় ৩০ মিনিটে। মোরছালিনের ক্রস থেকে বক্সে রাকিব বলটা দিতে চেয়েছিলেন জামাল ভূঁইয়াকে। সেই বল ভুটানের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে চলে যায় জালে। ৩৬ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় বক্সে ঢুকে রাকিবের প্রায় দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া প্লেসিংয়ে স্কোর দাঁড়ায় ৩-১।
সেমির ক্ষীণ আশা নিয়ে মাঠে নামা ভুটান শুরু থেকেই গোল পাওয়ার চেষ্টা করেছে। সফলও হয়েছে ১২ মিনিটে। বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে তেন্দা দর্জির দুর্দান্ত এক শটে এগিয়ে যায় ভুটান। এ সময় ভুটানের তারকা ফরোয়ার্ড চেনচো জাল থেকে বল কুড়িয়ে সতীর্থদের তাড়া দেন দ্রুত খেলা শুরু করতে। অর্থাৎ এক গোল যথেষ্ট নয়, চল আরও গোল করি...।
পরপরই বাংলাদেশের তিন ফুটবলারকে কাটিয়ে নিমার নেওয়া দূরপাল্লার শট লাগে ক্রসবারে। নইলে তখনই স্কোরলাইন হয়ে যেতে পারত ২-০। তবে দ্বিতীয় গোল আর পায়নি ভুটান। বরং শুরুতে পিছিয়ে পড়েও বাংলাদেশ ম্যাচে ফিরেছে দারুণভাবে।
মালদ্বীপকে আজ বিকেলে ১-০ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে ওঠার কাজটা তুলনামূলক সহজ করে দিয়েছে লেবানন। বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে ২৩ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেছেন লেবাননের অধিনায়ক হাসান মাতুক, যিনি বাংলাদেশের বিপক্ষেও গোল করেছিলেন। লেবাননের জয়ে সমীকরণ এমন দাঁড়িয়েছে যে, ভুটানের সঙ্গে ড্র করলেই চলছে বাংলাদেশের। এমনকি এক গোলের ব্যবধানে হারলেও ক্ষতি নেই।
চোটের কারণে ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশ একাদশে নেই সেন্টারব্যাক তারিক কাজী। তাঁর জায়গায় দলে এসেছেন রহমত মিয়া। রাইটব্যাক থেকে সরিয়ে বিশ্বনাথকে সেন্টারব্যাকে তপুর সঙ্গে নিয়ে এসেছেন কোচ। রাইটব্যাকে এসেছেন রহমত। ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদের জায়গায় একাদশে এসেছেন তরুণ মিডফিল্ডার শেখ মোরছালিন।
বাংলাদেশ একাদশ: আনিসুর রহমান, তপু বর্মণ, বিশ্বনাথ ঘোষ, রহমত মিয়া, ইসা ফয়সাল, সোহেল রানা, মোঃ হৃদয়,সোহেল রানা ( সিনিয়র), জামাল ভূঁইয়া, শেখ মোরছালিন, রাকিব হোসেন।