চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি হাতে গার্দিওলা
চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি হাতে গার্দিওলা

ট্রেবলজয়ী গার্দিওলা ও ম্যান সিটি যেখানে অনন্য

দীর্ঘ অপেক্ষার পর চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করল ম্যানচেস্টার সিটি। কয়েক মৌসুম ধরে কাছাকাছি গিয়েও ট্রফি ছুঁতে পারছিল না পেপ গার্দিওলার দল। এবার সেই আক্ষেপ দূর করেছে তারা। ইন্টার মিলানকে ১-০ গোলে হারিয়ে জিতে নিয়েছে নিজেদের প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। সে সঙ্গে দ্বিতীয় ইংলিশ ক্লাব হিসেবে ট্রেবল জয়ের স্বাদ পেল গার্দিওলার সিটি। এ ছাড়া প্রথম কোচ হিসেবে ভিন্ন দুটি ক্লাবের হয়ে ট্রেবলও জিতলেন গার্দিওলা। সংখ্যায় সংখ্যায় দেখে নেওয়া যাক সিটির সেই সাফল্য।

প্রথম কোচ হিসেবে দুটি ভিন্ন দলের হয়ে ট্রেবল জিতলেন গার্দিওলা। এর আগে ২০০৮-০৯ সালে বার্সেলোনার হয়ে ট্রেবল জিতেছিলেন এ স্প্যানিশ কোচ। আর এবার জিতলেন সিটির হয়ে।

ফাইনালে কোনো জার্মান দল না থাকলেও জার্মান মিডফিল্ডার ইলকায় গুন্দোয়ান সিটির অধিনায়ক ছিলেন। এর আগে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে কখনো নন–জার্মান দলের অধিনায়কত্ব করেননি কোনো জার্মান খেলোয়াড়।

দ্বিতীয় ইংলিশ ক্লাব হিসেবে ইউরোপিয়ান ট্রেবল জয়ের স্বাদ পেল গার্দিওলার সিটি। এর আগে ১৯৯৯ সালে প্রথম ইংলিশ ক্লাব হিসেবে ট্রেবল জিতেছিল অ্যালেক্স ফার্গুসনের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।

ম্যানচেস্টার হচ্ছে দ্বিতীয় শহর, যাদের ভিন্ন দুটি দল ইউরোপ সেরার শিরোপা জিতেছে। এর আগে এই কীর্তি ছিল মিলানের, যেখানে এসি মিলান ও ইন্টার মিলান দুই দলেরই আছে ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্ব।

২০০৭-০৮ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতল ম্যান সিটি।

এই শতকে তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে একই মৌসুমে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলেন হুলিয়ান আলভারেজ। তবে সব মিলিয়ে একই মৌসুমে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী ১০ম খেলোয়াড় হলেন এই আর্জেন্টাইন তারকা।

এটি ছিল পেপ গার্দিওলার চতুর্থ ফাইনাল। এর আগে তার চেয়ে বেশি ফাইনালের ডাগআউটে ছিলেন শুধু কার্লো আনচেলত্তি।

সর্বশেষ চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের নিষ্পত্তি হয়েছে ১-০ গোলে।

ইতিহাসের চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে একই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ এবং চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন আর্লিং হলান্ড। এর আগে এই কীর্তি গড়েছেন ডুইট ইয়র্ক (১৯৯৮/৯৯), রুড ফন নিস্টলরয় (২০০২-০৩) এবং ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (২০০৯-০৮)।

ইংল্যান্ডের ষষ্ঠ ক্লাব হিসেবে ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের খেতাব জিতল সিটি। এর আগে ইউরোপিয়ান সাফল্য পাওয়া দলগুলো অ্যাস্টন ভিলা, চেলসি, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও নটিংহাম ফরেস্ট।

ফাইনালে শতভাগ ড্রিবল সম্পন্ন করেছেন সিটির ডিফেন্ডার জন স্টোনস। ৬টি ড্রিবল করে প্রতিবারই সফল হয়েছেন স্টোনস। এর আগে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে সর্বশেষ শতভাগ ড্রিবল সম্পন্ন করা খেলোয়াড় ছিলেন লিওনেল মেসি। ২০১৫ সালে জুভেন্টাসের বিপক্ষে ফাইনালে ১০ বার ড্রিবল করে প্রতিবার সফল হয়েছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।