মেসিকে অ্যাস্টন ভিলাতে চান মার্তিনেজ
মেসিকে অ্যাস্টন ভিলাতে চান মার্তিনেজ

মেসিকে অ্যাস্টন ভিলায় পেতে বেতনও কমাতে রাজি মার্তিনেজ

লিওনেল মেসির ভবিষ্যৎ কী বা কোথায় যাবেন তিনি-এই প্রশ্নের উত্তরে বেশ কয়েকটি ক্লাবের নামই বলতে পারেন। কেউ হয়তো বলবেন বার্সেলোনা, কেউ আবার আল হিলাল। অনেকে আবার ইন্টার মায়ামির কথাও বলতে পারেন।

এখন পর্যন্ত মেসির সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে এ কয়টি ক্লাবের কথাই শোনা গেছে। কিন্তু কারও মুখে যদি অ্যাস্টন ভিলার নামটা শোনেন, তখন কী অনুভূতি হবে!

কার কেমন অনুভূতি হবে কে জানে, কিন্তু এবার মেসির সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে অ্যাস্টন ভিলার নামও উঠে এসেছে! অ্যাস্টন ভিলার সেই নামটাও আবার এসেছে খোদ বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা দলের মেসির এক সতীর্থের কাছ থেকে। তিনি আর কেউ নন, গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।

আর্জেন্টিনার এই গোলরক্ষককে শুধু মেসির সতীর্থ বললে ভুল হবে, তিনি মেসির বন্ধুও। মেসির বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণের অন্যতম কারিগর। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালের অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তে মার্তিনেজ ওই অবিশ্বাস্য সেভটি না করলে তো মেসির বিশ্বকাপের গল্পটা অন্য রকম হতেও পারত। বিশ্বকাপজুড়েই গোলপোস্টের নিচে আস্থার প্রতীক হয়ে ছিলেন মার্তিনেজ। বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার তাই উঠেছিল মার্তিনেজের হাতেই।

বিশ্বকাপ ফাইনালের শেষ মুহূর্তে কোলো মুয়ানির শট ঠেকিয়ে দেন মার্তিনেজ

সেই মার্তিনেজ ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মেসিকে পেতে প্রয়োজনে তিনি নিজের বেতনেও হাত দেবেন , ‘যদি তারা দুয়ো দেয়, তাহলে মেসিকে আমি অ্যাস্টন ভিলায় নিয়ে আসব। আমি নিজের বেতন কমাব। তাকে পেতে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’

পিএসজির সঙ্গে মেসির চুক্তি শেষ হবে চলতি বছরের জুনে। বার্তা সংস্থা এএফপি খবর দিয়েছিল, মেসি আগামী মৌসুমে সৌদি আরবের ফুটবলে খেলার চুক্তিও সেরে ফেলেছেন। তবে সেই খবর মিথ্যা দাবি করেছেন মেসির বাবা ও এজেন্ট হোর্হে মেসি।

সাক্ষাৎকারে মার্তিনেজ কথা বলেছেন ফাইনালে তাঁর সেই অবিশ্বাস্য সেভ নিয়েও। তিনি বলেছেন কোলো মুয়ানির বিপক্ষে করা সেভটি তাঁর জীবনের সঙ্গেই জড়িয়ে গেছে, ‘আসলে এমন সেভ আর কখনো হবে না। সম্ভবত এর চেয়ে ভালো হবে, তবে এটা জীবনের সঙ্গেই জড়িয়ে গেছে। মাঠে সেদিন ৮০ শতাংশ মানুষই ছিল আর্জেন্টাইন সমর্থক, যখন বলটা ওতামেন্দির কাছে যায়, আর সে বিপদমুক্ত করতে পারেনি। তখন মুয়ানির সামনে একা হয়ে যাই। পুরো গ্যালারি দুই সেকেন্ডের জন্য নীরব হয়ে যায়। আমি ঘুমাতে গেলেও স্টেডিয়ামের ওই নীরবতা অনুভব করতে পারি।’