হঠাৎ করে দানি কারভাহালের যদি মনে হয়, এক সপ্তাহের ছুটি লাগবে, কোনো সমস্যা নেই। আরেকজন রাইটব্যাক, লুকাস ভাসকেজ তো আছেন। আন্তনিও রুডিগার ছুটি নিলে রিয়াল মাদ্রিদের সেন্টার ব্যাকে আছেন এদের মিলিতাও।
মাঝমাঠ বা ফরোয়ার্ডেও কি বিকল্প কম আছে নাকি রিয়ালের! মাঝমাঠে লুকা মদরিচ কোনো কারণে খেলতে না পারলে জুড বেলিংহাম, অরেলিয়াঁ চুয়ামেনি, এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গাসহ বেশ কয়েকজনই আছেন। আবার ফরোয়ার্ডে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো, কিলিয়ান এমবাপ্পেদের বিকল্প হিসেবে দাঁড়িয়ে যাওয়ার জন্য আছেন ব্রাহিম দিয়াজ, এনদ্রিকরা।
এত বিকল্প পেয়েই হয়তো রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তির মাথায় একটা পরিকল্পনা এসেছে। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলোয়াড়দের বেশি বেশি ছুটি দিতে চান তিনি। এর মধ্যেই এ মৌসুমে এমবাপ্পে-ভিনিসিয়ুস-বেলিংহামদের ব্যক্তিগত ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন রিয়ালের ইতালিয়ান কোচ।
মায়োর্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আজ লা লিগার নতুন মৌসুম শুরু হবে রিয়ালের। এ ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তি বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের বিশ্রাম প্রয়োজন। তাদের ছুটি প্রয়োজন এবং এ মৌসুমে আমরা খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত ছুটি দেওয়ার কথা ভাবছি।’
এমনিতে ক্লাব ফুটবলে খেলোয়াড়েরা মৌসুম চলাকালে ছুটি পান না বললেই চলে। চোটে না পড়লে সারা বছর তাঁরা খেলার মধ্যেই থাকেন। খেলা না থাকলে চলে অনুশীলন। এর মধ্যে আবার আন্তর্জাতিক ফুটবলও খেলতে হয় তাঁদের। মৌসুম শেষ হলেই শুধু ছুটিতে যান বিভিন্ন ক্লাবের খেলোয়াড়েরা। এই ধারা ভাঙতে চান আনচেলত্তি।
রিয়াল মাদ্রিদের কোচ সংক্ষেপে নিজেদের পরিকল্পনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবে, ‘আমরা মৌসুমের মধ্যে ছুটি দেওয়ার কথা ভাবছি। খেলোয়াড়েরা যাতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারে, এ জন্য তাদের এক সপ্তাহর ছুটি দেওয়া যায়। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ফুটবলে খেলা খেলোয়াড়দের। কারণ, তারা আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতির সময়ও এক দিনের ছুটিও পায় না।’