ফ্রান্স সমর্থকদের মনে নিশ্চয় এখন একটাই প্রশ্ন—কিলিয়ান এমবাপ্পে কি আজ খেলবেন? ফরাসিদের গতকালের অনুশীলন দেখে থাকলে সমর্থকদের আশ্বস্তই হওয়ার কথা। সতীর্থদের সঙ্গে দেশের পতাকার নকশাকৃত মাস্ক পরে বেশ কিছুক্ষণ ঘাম ঝরিয়েছেন ২৫ বছর বয়সী তারকা ফরোয়ার্ড।
এরপরও লাইপজিগে আজ রাতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে এমবাপ্পের খেলা নিয়ে শঙ্কা জাগার কারণ কারও অজানা থাকার কথা নয়। ডুসেলডর্ফে গত সোমবার অস্ট্রিয়াকে ১–০ ব্যবধানে হারিয়ে ইউরো অভিযান শুরু করে ফ্রান্স। তবে ম্যাচের শেষ দিকে অস্ট্রিয়ান ডিফেন্ডার কেভিন দানসোর কাঁধে জোর ধাক্কা লেগে নাক ফেটে রক্ত ঝরে এমবাপ্পের।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছিল, ওই ঘটনার পর এমবাপ্পেকে ডুসেলডর্ফের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএফ) জানায়, ফরাসি অধিনায়কের নাকে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন নেই। শুধু প্রতিরক্ষামূলক মাস্ক পরলেই চলবে।
পরবর্তী সময়ে কোচ দিদিয়ের দেশম নিশ্চিত করেন, আগামী কিছুদিন মাস্ক পরে খেললেও কোনো না কোনো সময় তাঁকে অস্ত্রোপচার করাতে হবে। গতকাল দেশম এটাও জানান, এমবাপ্পেকে তিনি নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলানোর ব্যাপারে আশাবাদী।
তবে ইএসপিএন বলছে ভিন্ন কথা। সংবাদমাধ্যমটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এমবাপ্পের আজ খেলতে নামার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। দলের সঙ্গে মাঠে গেলেও তিনি বেঞ্চে বসে থাকবেন। কারণ, টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায় না। আরও ভালো বোধ করলে আগামী মঙ্গলবার পোল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি খেলতে পারেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।
কিন্তু আজ হোক কিংবা মঙ্গলবার—টিম ম্যানেজমেন্ট এমবাপ্পেকে যেদিনই খেলানোর পরিকল্পনা করুক না কেন, তাঁর মাঠে নামার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে মাস্কের রং। এমবাপ্পে কাল যে মাস্ক পরে অনুশীলন করেছেন, তা ফ্রান্সের তেরঙ্গা (নীল–সাদা–লাল) পতাকার নকশায় বানানো।
কিন্তু ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফার পরিচালনা পরিষদের নিয়ম অনুযায়ী, বিশেষ ছাড়পত্র ছাড়া কেউ এক রঙের মাস্ক ব্যতীত অন্য কোনো মাস্ক পরে খেলতে পারবেন না।
উয়েফার প্রবিধানে বলা হয়েছে, ‘চিকিৎসা সরঞ্জাম পরে কেউ খেলতে চাইলে তা একক রঙের হতে হবে এবং তাতে দল ও প্রস্তুতকারকের নাম বা লোগো থাকা যাবে না।’
এমবাপ্পের তেরঙ্গা মাস্ক উয়েফার দুটি শর্তই ভঙ্গ করে। একে তো তাঁর মাস্ক তিন রঙের, তা ছাড়া এতে ফ্রান্সের পতাকা ও ফুটবল ফেডারেশনের লোগোর মাধ্যমে দলীয় পরিচয়ও ফুটে উঠেছে। মাস্কে নিজ নামের আদ্যক্ষরও (KM) লেখা আছে। তাই এমবাপ্পে ইউরোয় আবার মাঠে চাইলে দ্রুত মাস্ক পরিবর্তন করতে হবে।