সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচ খেলেছে তিন কোচের অধীন। তবে জয় অধরাই রয়ে গেছে। চেলসির সময়টা কত বাজে যাচ্ছে, সেটা এ তথ্যেই স্পষ্ট।
চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে পরশু রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ২–০ ব্যবধানে হেরে বিদায় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা–দৌড় থেকেও ছিটকে পড়েছে তারা। আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করে নেওয়া দূরে থাক, ইউরোপা লিগ এমনকি কনফারেন্স লিগে জায়গা করে নেওয়াও কঠিন মনে হচ্ছে দলটির জন্য। চেলসির খেলোয়াড়দেরও এ নিয়ে প্রশ্ন করলে মুখ থেকে শুধু হতাশার গল্পই বেরিয়ে আসবে।
ফুটবলবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘গোল ডট কম’ এটা ভেবেই বোধহয় মার্ক কুকুরেয়াকে দুঃস্বপ্নের মৌসুম নিয়ে তেমন প্রশ্ন করেনি। চেলসির ২৪ বছর বয়সী স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমটির আলোচনার বেশির ভাগ অংশজুড়ে ছিলেন লিওনেল মেসি, আর্লিং হলান্ড ও ক্লাব সতীর্থরা।
অন্য অনেকের মতো কুকুরেয়ার চোখেও মেসি বিশ্বসেরা ফুটবলার। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে দক্ষতা ও কৌশলেও সবার চেয়ে এগিয়ে রেখেছেন কুকুরেয়া। তবে তর্কসাপেক্ষে সময়ের সেরা স্ট্রাইকার হলান্ড শক্তিমত্তায় এগিয়ে বলে মনে করেন তিনি।
বার্সেলোনার চালিকাশক্তি হিসেবে পরিচিত লা মাসিয়া একাডেমি থেকে উঠে এসেছেন কুকুরেয়া। স্পেন ছেড়ে ইংল্যান্ডে আসার আগে কয়েক মৌসুম বার্সায় খেলেছেন। স্বাভাবিকভাবেই মেসি, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, জাভি হার্নান্দেজ, কার্লোস পুয়োল, জেরার্দ পিকেদের মতো কিংবদন্তিদের সান্নিধ্য পেয়েছেন। সেই দর্শন থেকেই ‘গোল ডট কম’কে বলেছেন, ‘লিওনেল মেসি বিশ্বের ১ নম্বর খেলোয়াড়। বার্সায় থাকতে আমি বহুবার তাঁর সঙ্গে অনুশীলন করেছি, খেলেছিও।’
কেন মেসি সেরা, সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন কুকুরেয়া, ‘আপনি তাঁকে মাঠে প্রচুর হাঁটতে দেখবেন। সবচেয়ে অবিশ্বাস্য ব্যাপার হলো, তিনি আসলে হেঁটে হেঁটে সবাইকে নজরে রাখেন। কোন দিক দিয়ে আক্রমণে যাবেন, মনে মনে সেটাও ঠিক করে রাখেন। বল পেলেই তিনি ফাঁকা জায়গাগুলো দিয়ে ছুটতে থাকেন, যেটা তিনি আগেই মনে গেঁথে রেখেছিলেন। সত্যি কথা বলতে, মেসি প্রতিপক্ষকে “খুন” করতে প্রস্তুত থাকেন।’
২০২১ সালে ইংলিশ ক্লাব ব্রাইটনে নাম লেখান কুকুরেয়া। গত বছর তাঁকে কিনে নেয় চেলসি। হলান্ড ম্যানচেস্টার সিটিতে আসায় এ মৌসুম থেকে তাঁর চ্যালেঞ্জ আরও বেড়েছে। সিটির হয়ে অভিষেক মৌসুমেই গোলের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন তরুণ নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। কোনো খেলোয়াড়ের কাছ থেকে শক্তি সঞ্চার করতে হলে হলান্ডই প্রথম পছন্দ কুকুরেয়ার, ‘খুব সম্ভবত হলান্ড। দক্ষতার কারণে নয়, শক্তির কারণে। গোল করার জন্য সে সঠিক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে। হয়তো তাঁর নির্দিষ্ট একটি সেরা বৈশিষ্ট্য নেই। কিন্তু আমার মনে হয়, সে গোলের গন্ধ পায়।’
চেলসির সতীর্থদের নিয়েও নিজের ধারণাগুলো তুলে ধরেছেন কুকুরেয়া। পোশাক–পরিচ্ছদে কে সবচেয়ে পরিপাটি—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আমার চোখে পিয়েরে–এমেরিক অবামেয়াং। সে ফ্যাশন–সচেতন ও ছিমছাম। সে ট্রেনিংয়েও বেশ সাজগোজ করে আসে। তবে সবচেয়ে বাজে পোশাক পরে সিজার আজপিলিকেতা। তাঁর হাবভাব বুড়ো মানুষদের মতো। যেসব পোশাক পরে, একদম দাদু দাদু লাগে (হাসি...)।’