ইন্টার মায়ামিতে লিওনেল মেসির অভিষেক কবে, সেটা ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটির সহমালিক হোর্হে মাস নিজেই জানিয়েছিলেন কিছুদিন আগে। বলেছিলেন, আগামী ২১ জুলাই ডিভিআর পিএনকে স্টেডিয়ামে লিগস কাপে মেক্সিকান দল ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে অভিষেক হতে পারে মেসির। এরপরই এই ম্যাচের টিকিটের দামে যেন আগুন লেগেছে!
যুক্তরাস্ট্রের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) পূর্বাঞ্চলীয় পয়েন্ট টেবিলে তলানিতে রয়েছে ইন্টার মায়ামি। হেরেছে টানা ৬ ম্যাচ। এমন পারফরম্যান্সের পরও মায়ামিকে নিয়ে এত আগ্রহের কারণ যে মেসি, তা না বললেও চলে। মেসি এখনো মায়ামির সঙ্গে চুক্তিপত্রে সই করেননি। সেটা আগামী ৫ জুলাই হতে পারে বলে জানিয়েছে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ক্লারিন। জুন শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে মেসির সঙ্গে পিএসজির চুক্তির মেয়াদও ফুরাবে। ফ্রেঞ্চ লিগ আঁ শেষেই মায়ামিতে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন মেসি।
মেসি মায়ামিতে যোগ দেওয়ার ঘোষণার পর দলটির হয়ে তাঁর সম্ভাব্য অভিষেক ম্যাচের টিকিটের দাম বেড়ে যায়। যে টিকিটের দাম ছিল ২৯ ডলার (৩১৩৩ টাকা), সেটাই বেড়ে দাঁড়ায় ৩২৯ ডলারে (৩৫৪৫৪ টাকা)। নিউইয়র্কের টিকিটের অনলাইন বাজার নিয়ন্ত্রণকারী প্ল্যাটফর্ম টিকপিক এই তথ্য জানিয়েছিল।
এবার অনলাইনে রিসেল (পুনরায় বিক্রি) প্ল্যাটফর্ম ‘ভিভিড সিটস’–এর তথ্য নিয়ে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ক্লারিন জানিয়েছে, মায়ামিতে মেসির সম্ভাব্য অভিষেক ম্যাচের টিকিট তাঁর ঘোষণার পর ৪০ ডলার থেকে বেড়ে ৫০০ ডলার হয়েছিল। এখন সেই টিকিটই ১১০০ ডলারের নিচে পাওয়া যাচ্ছে না! বাংলাদেশি মুদ্রায় এই টিকিটের দাম প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার ২৫৩ টাকা।
অনলাইনে টিকিট বিক্রির আরেকটি প্ল্যাটফর্ম সিটগিক–এর বরাত দিয়ে ক্লারিন জানিয়েছে, গত বুধবার সকালেও মায়ামির এই ম্যাচের টিকিট সর্বনিম্ন ১০৬০ ডলারে বিক্রি হয়েছে। টিকিট বিক্রির আরেকটি প্ল্যাটফর্ম গেম টাইম জানিয়েছে, তাদের সাইটে এই ম্যাচের টিকিট সর্বনিম্ন ১০৩০ ডলারে বিক্রি হয়েছে।
মায়ামি থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ফোর্ট লডারহিলে ডিভিআর পিএনকে স্টেডিয়াম অবস্থিত। মায়ামি নিজেদের স্টেডিয়াম বানাচ্ছে, তার আগে এই স্টেডিয়ামেই খেলতে হবে। ১৯ হাজার আসনের এই স্টেডিয়ামে একটু সংস্কারকাজও করতে চায় মায়ামি। মেসি আসার আগেই আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই স্টেডিয়ামের আসনসংখ্যা ২২ হাজারে উন্নীত করতে চায় মায়ামি। ক্লারিন জানিয়েছে, মেসির সম্ভাব্য অভিষেকের এই ম্যাচে টিকিটের দাম ১০ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা) টপকে গেছে।