পার্ক দেস প্রিন্সেসে মেসি–নেইমার
পার্ক দেস প্রিন্সেসে মেসি–নেইমার

প্যারিসের মেয়রের সঙ্গে পেরে না ওঠায় পার্ক দে প্রিন্সেস ছাড়তে হতে পারে পিএসজিকে

পিএসজি ও পার্ক দে প্রিন্সেস স্টেডিয়াম যেন সমার্থক। প্যারিসের এই মাঠের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ক্লাবটির হাসি–কান্নার অনেক স্মৃতি। তবে মালিকানাসংক্রান্ত জটিলতায় মাঠটি হাতছাড়া হতে পারে পিএসজির। ইউরোপীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর বলছে, প্যারিসের মেয়র কোনোভাবেই পিএসজি কর্তৃপক্ষের কাছে মাঠটি বিক্রি করতে রাজি নন।

১৯৭০ সালে জন্ম ফুটবল ক্লাব পিএসজির। ১৯৭৪ সাল থেকে ৪৭ হাজার আসনের এই মাঠ ব্যবহার করে আসছে প্যারিসের ক্লাবটি। ইএসপিএনের এক প্রতিবেদন বলছে, প্যারিসের মেয়র আন্নে হিডালগো ক্লাবের কাছে মাঠটি বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ২০১১ সালে নাসের আল–খেলাইফি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই মাঠের অবকাঠামো উন্নয়নে অনেক অর্থ ব্যয় করেছে পিএসজি।

এই মুহূর্তে মাঠ ছাড়তে হলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে পিএসজিকে। তাই যেকোনো মূল্যে মাঠটিকে ধরে রাখতে চায় তারা। এই স্টেডিয়াম সংস্কার করতে নাকি ৫০ কোটি ইউরো খরচ হবে পিএসজির। ক্লাবটি কিনে নেওয়ার অনুমতি পেলে এই কাজে অর্থায়ন করতে চায় পিএসজি কর্তৃপক্ষ। তবে সে প্রস্তাবও নাকি ফিরিয়ে দিয়েছেন হিডালগো।

পার্ক দেস প্রিন্সেসে পিএসজি খেলোয়াড়দের উদ্‌যাপন

বিভিন্ন সময়ে দুই পক্ষ মাঠ কেনাবেচা নিয়ে দর–কষাকষি করেছে। শেষ পর্যন্ত কোনো ধরনের সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় তারা। এখন শোনা যাচ্ছে, হিডালগো বেচাকেনার সম্ভাবনার সব দুয়ারই বন্ধ করে দিয়েছেন।

লা পারিসিয়ানকে হিডালগো বলেছেন, ‘আমাদের অবস্থান খুবই পরিষ্কার । পার্ক দে প্রিন্সেস বিক্রির জন্য নয় এবং এটা কখনো বিক্রি করা হবে না। এটাই চূড়ান্ত অবস্থান। এটা প্যারিসবাসীর অনন্যসাধারণ এক ঐতিহ্য।’

মেয়রের এমন অনড় অবস্থান নিয়ে পিএসজির মুখপাত্র বলেছেন, ‘প্যারিসের মেয়র যে অবস্থান গ্রহণ করেছেন, সেটা বিস্ময়কর এবং হতাশার। পিএসজি এবং পার্ক দে প্রিন্সেস প্যারিসের গর্বিত ঐতিহ্যের অংশ। পিএসজি এর মধ্যে স্টেডিয়ামের রক্ষণাবেক্ষণে ৮ কোটি ৫০ লাখ ইউরো ব্যয় করেছে। সমর্থকদের জন্য অতিরিক্ত ৫০ কোটি ইউরো খরচ করতেও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যা পিএসজিকে সমৃদ্ধ করতে এবং ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ের অন্য ক্লাবগুলোর সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করবে। আর অবশ্যই এই বিনিয়োগ তখন করা হবে, যখন পিএসজি আক্ষরিক অর্থে এই পার্ক দে প্রিন্সেসের মালিকানা পাবে।’