পল স্মলি
পল স্মলি

বাফুফের চাকরি ছেড়েছেন পল স্মলি

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন পল স্মলি। অনেক দেনদরবারের পর বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পদ থেকে পল স্মলি আজ পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগপত্র গৃহীতও হয়েছে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বাফুফের চাকরি ছাড়লেন পল স্মলি।

বিষয়টা নিশ্চিত করে বাফুফের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘পল আর থাকছেন না বাফুফেতে। এটা তিনি আজ জানিয়ে দিয়েছেন।’ ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত এই অস্ট্রেলিয়ান বাফুফেতে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৬ সালে। ২০১৯ সালের অক্টোবরে চলে গিয়ে ব্রুনেই জাতীয় দলের কোচ হয়েছিলেন। কিন্তু কিছুদিন পরই আবার তাঁকে ফিরিয়ে আনেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। আগামী বছর আগস্ট পর্যন্ত বাফুফের সঙ্গে চুক্তি ছিল পলের। এক বছর আগেই তিনি দায়িত্ব ছাড়লেন।

মেয়েদের ফুটবলে বেশি কাজ করেছেন পল স্মলি

এই বিষয়ে পল বলেন, ‘আমি গত প্রায় দেড় মাস বাফুফে সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করছি বিভিন্ন বিষয়ে। কিছু বিষয় পরিবর্তনের জন্য বলেছি তাঁকে। তিনি আমার পয়েন্টগুলো যৌক্তিক বললেও এসব কার্যকর করতে সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু তা এখন বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমি চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ সভাপতির সঙ্গে আলোচনায় কোন কোন বিষয় এসেছে—জানতে চাইলে পল বলেন, ‘বাফুফের বিভিন্ন বিভাগ পুনর্গঠন করা প্রয়োজন। বিশেষ করে আমার টেকনিক্যাল বিভাগ। যেখানে ভালোভাবে কাজ করতে আরও বিশেষজ্ঞ লোক দরকার। সেখানে মাত্র দুজন নির্বাহী কাজ করে। অর্থ বিভাগও আরও শক্তিশালী করা দরকার।’

তবে যেমনটা শোনা গিয়েছিল বেতন–ভাতা না বাড়ালে চলে যাবেন বলে হুমকি দিয়েছেন, বিষয়টা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন পল। বলেছেন, তাঁর চলে যাওয়ার পেছনে বেতন–ভাতার প্রভাব নেই।

দুর্নীতির অভিযোগে গত এপ্রিলে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইমকে ফিফা ২ বছর নিষিদ্ধ করার পর পল দূরত্ব তৈরি করেন বাফুফের সঙ্গে। তখনই বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘এখানে কাজের পরিবেশ নেই। তাই পল আর থাকবেন না। তবে আমরা চেষ্টা করব তাঁকে রাখতে। কারণ, আমরা মনে করি মেয়েদের ফুটবল উন্নয়নে তাঁর অনেক অবদান।’ গত কয়েক দিন ধরেই পলের সঙ্গে দফায় দফায় সভা করেন বাফুফে সভাপতি। কিন্তু পল রাজি হননি। নেপালের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজে সাবিনাদের দলের তালিকা থেকে নিজের নামও তিনি প্রত্যাহার করে নেন।

দ্বিতীয়বারের মতো বাফুফের চাকরি ছাড়লেন পল স্মলি

পল বাফুফেতে মূলত বেশি কাজ করেছেন মেয়েদের নিয়েই। ছেলেদের বয়সভিত্তিক ফুটবলে সেভাবে তাঁর সম্পৃক্ততা দেখা যায়নি। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে তাঁর যে ভূমিকা, সেখানে দেখা গেছে অনেক ঘাটতি। ফলে তাঁর কাজ নিয়ে সব সময়ই একটা বিতর্ক ছিল বরাবরই।