পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের
পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের

নেইমারদের না পাওয়াকে ঢাল বানালেন পিএসজি কোচ

চ্যাম্পিয়নস লিগে পিএসজির সেই পুরোনো গল্প। লিওনেল মেসি-কিলিয়ান এমবাপ্পে-সের্হিও রামোসরা অধরা চ্যাম্পিয়নস লিগ পিএসজিকে এনে দিতে পারলেন কোথায়! তাঁদের নিয়েই টানা দুই মৌসুমে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিল পিএসজি। ইউরোপ–সেরার মঞ্চে এমন ব্যর্থতার ময়নাতদন্ত করলে হয়তো অনেক কারণই সামনে আসবে।

পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের অবশ্য সহজ পথটাই বেছে নিয়েছেন। কারণ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন দুই লেগে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফুটবলারকে না পাওয়া।

ঘরের মাঠে প্রথম লেগে চোটের সমস্যায় ভুগছিলেন এমবাপ্পে। চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না উঠেই বায়ার্নের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেছিলেন এই ফরাসি তারকা। সেই ম্যাচে এমবাপ্পের মতোই চোট থেকে ফিরেছিলেন মার্কো ভেরাত্তি।

দ্বিতীয় লেগের আগে তো পিএসজির চোটের সমস্যা বেড়েছিল আরও এক ধাপ। কারণ, চোটের কারণে পুরো মৌসুম থেকেই ছিটকে গেছেন নেইমার ও প্রেসনেল কিমপেম্বে। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রথম একাদশের কয়েকজন ফুটবলারকেই না পাওয়াকেই তাই হারের জন্য দায়ী করেছেন গালতিয়ের।

দলকে জেতাতে পারলেন না এমবাপ্পে

ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ বলেছেন, ‘যখন আমরা সেরা ফুটবলটা খেলছিলাম, তখন গোল করতে পারিনি। এরপর আমরা হাস্যকর একটা গোল খেলাম। দুই লেগেই আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফুটবলারকে পাইনি। মূলত এটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। এমন ফল হতাশাজনক, কিন্তু আমাদের হজম করে নিতে হবে।’

চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায়, অর্থাৎ মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেকে নিয়ে গড়া পিএসজির প্রজেক্ট ব্যর্থ। তাই পিএসজির স্কোয়াডে যে বড়সড় পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে, সেটা তো নিশ্চিত।

পিএসজির নতুন প্রজেক্টে কি থাকবেন কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের? এমন প্রশ্নটাও তো অমূলক নয়। পিএসজিতে নিজের ভবিষ্যতের প্রশ্নে গালতিয়ের বলেছেন, ‘এই বিষয়ে এখনই কথা বলা ঠিক হবে না। মূলত আমার থাকা না থাকা নির্ভর করে পিএসজি ম্যানেজমেন্ট ও প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের ওপর। স্বাভাবিকভাবেই হতাশা আছে। কারণ, এই টুর্নামেন্ট থেকে ক্লাবের চাওয়াটাই বেশি ছিল।’