বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের একটা প্রজন্মের কাছে ‘ক্লাব রাইভালরি’ বা দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের দ্বৈরথের রোমাঞ্চ বলতে রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনা কিংবা ম্যানচেস্টার সিটি-লিভারপুল, বা এসি মিলান-ইন্টারমিলান। ‘ক্লাসিকো’ কিংবা ‘ডার্বি’ মানেই তাদের কাছে ইউরোপ। কিন্তু নিজের দেশেও যে ক্লাব রাইভালরি, দুই ক্লাবের দ্বৈরথ দেশকে দুই ভাগে ভাগ করে দিতে পারে, সেটি তাদের কাছে কল্পগল্পের মতোই। কেবল শুনে যাওয়া, কিন্তু চোখের দেখা নয়। এ দেশের খেলাধুলায় গত ২০ বছর ধরেই যে ব্যাপারটি অনুপস্থিত, সেটি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের দ্বৈরথ।
অথচ, দুই দশক আগেও ব্যাপারটি এমন ছিল না। এ দেশেও ‘ডার্বি’ উত্তাপ ছড়াতো। ‘ক্লাসিকো’ রোমাঞ্চ নিয়ে হাজির হতো। দেশের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব আবাহনী ও মোহামেডানের খেলা মানেই ছিল ক্রীড়াপ্রেমীদের দূর দূরু বুকে অপেক্ষা, কখনোবা শঙ্কাও। এই দুই দলের লড়াই মানেই ছিল ঢাকা শহর কোনো এক অজানা আশঙ্কায় ফাঁকা হয়ে যাওয়া। আবাহনী-মোহামেডানের যেকোনো লড়াইই ছিল সকাল থেকে উৎকণ্ঠা—কী হয়! কী হয়!! দুই ক্লাবের লড়াই হয়ে যেত সেদিনের ‘টক অব দ্য টাউন’। যেকোনো শ্রেণি-পেশা তো বটেই, কিছুটা নাক উঁচু মধ্যবিত্তে কিংবা উচ্চবিত্তের বৈঠক খানা কিংবা চায়ের টেবিলেও সেদিন আবাহনী-মোহামেডান আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠত।
কিন্তু মাত্র দুই দশকের ব্যবধানে এমন একটা উৎসব-উৎকণ্ঠার আবহ এখন উধাও। স্রেফ হারিয়েই গেল। দুই দশক কি খুব দীর্ঘ একটা সময়? কলকাতায় ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান দ্বৈরথ নিয়ে রোমাঞ্চ, উত্তেজনা, আলোচনা যদি এখনো থাকে, ঢাকার আবাহনী-মোহামেডান নিয়ে উন্মাদনা হারিয়ে গেল কেন? সত্তর-আশি ও নব্বইয়ের দশকে আবাহনী-মোহামেডান রোমাঞ্চে বুঁদ হয়ে থাকা মানুষগুলো এখন কোথায়?
বাংলাদেশের ফুটবল নস্টালজিয়ায় ডুবে আছে বহু বছর ধরে। অতীতই সব। বর্তমানে যে কিছুই নেই। আবাহনী-মোহামেডান লড়াই নিয়ে আলোচনা উঠলেই একটা প্রজন্ম স্মৃতিতে ডুব দেন। নিজেদের মধ্যে করতে থাকেন স্মৃতিচারণ। এই প্রজন্মের খেলাপ্রেমীরা অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। কখনো ফোড়ন কাটেন। আদৌ কি এমন কিছু ছিল দেশের ফুটবলে! বলতে গেলে কোনো কিছুরই তো প্রমাণ নেই। টেলিভিশনে কখনোই তাঁরা পুরোনো ম্যাচগুলোর হাইলাইটস দেখেননি। বাইরের দেশে যেমন অতীতের স্মৃতিকে যত্ন করে রেখে দেওয়া হয়েছে, এই দেশে তেমন কিছু কখনোই হয়নি। তাই হালের প্রজন্মের ঠিক বিশ্বাস হয় না বয়োজ্যেষ্ঠদের স্মৃতিচারণ। গোটা দেশের দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়া, বিকেল ৫টায় খেলা হলে বেলা ১১টাতেই স্টেডিয়াম ভরে যাওয়া, দুই দলের পতাকায় গোটা শহর ছেয়ে যাওয়া, ম্যাচ ঘিরে সমর্থকদের মারামারি, দাঙ্গা, রক্তক্ষরণ কিংবা দুর্ভাগ্যজনক প্রাণক্ষয় ...এই প্রজন্মের কাছে পুরো বিষয়টাই অবিশ্বাস্য!
আবাহনী, মোহামেডান—দুটি ক্লাব কিন্তু হারিয়ে যায়নি। বেশ দাপটের সঙ্গেই টিকে আছে দেশের খেলাধুলার জগতে। তারা কি কখনো ভেবে দেখেছে ব্যাপারটা। এমন একটা লড়াই কেন দর্শক, ফুটবলপ্রেমীদের মন থেকে মুছে গেল? এটা কি হঠাৎ করেই? না এটার পেছনে কোনো কারণ আছে। যতটুকু বোঝা যায় আবাহনী কিংবা মোহামেডান কেউই আত্মবিশ্লেষণের ধার ধারেনি। তাদের কেউই এখনকার ফুটবলপ্রেমীদের মন পড়ার চেষ্টা করেনি। সবচেয়ে বড় কথা, কোনো ক্লাবই সময়ের সঙ্গে নিজেদের বিবর্তনে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
সত্তর-আশি কিংবা নব্বইয়ের দশকে আবাহনী-মোহামেডান নিয়ে উন্মাতাল প্রজন্ম বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যায়নি। স্মৃতি বুকে নিয়ে বেঁচে-বর্তে আছেন অনেকেই। কিন্তু তাদের পরের প্রজন্ম কেন এই উন্মাতাল রোমাঞ্চে গা ভাসাতে পারেনি, এটার একটা বিশ্লেষণের প্রয়োজন আছে। সমস্যার গভীরে ঢুকতে না পারলে আসলে ভাসা ভাসা কথাবার্তা আর আক্ষেপ যে অর্থহীন, সেটি তো সবারই বোঝা দরকার।
অনেকেই বলেন, জাতীয় ফুটবল দলের ক্রমাগত ব্যর্থতা আবাহনী-মোহামেডান নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহে ভাটা এনে দিয়েছে। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকেই দুই দলের দ্বৈরথে ভাটার টান। এ দেশে স্যাটেলাইট যুগের শুরুটা তখন থেকেই। বাড়ির ছাদে ডিশ অ্যান্টেনা লাগিয়ে বিদেশি চ্যানেল দেখার সেই সময়ে ফুটবলপ্রেমীরা হঠাৎ করেই আরও উঁচুমানের ফুটবলের স্বাদ পাওয়া শুরু করেন। কিন্তু এর পরেও, ২০০০ কিংবা ২০০১ সালেও আবাহনী-মোহামেডান দ্বৈরথ নিয়ে মানুষের মধ্য আগ্রহ ছিল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম কিংবা শেরেবাংলা স্টেডিয়াম উপচে না পড়লেও মোটামুটি ভরে যেত। পত্র-পত্রিকাগুলো আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের দিন বিশেষ আয়োজন রাখত। কিন্তু এখন! সেই আগ্রহটুকুও অবশিষ্ট নেই। আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ কখন, কোন ফাঁক দিয়ে হয়ে যায়, সেই খবরও রাখে না কেউ। দর্শকদের আগ্রহ নেই বলে গণমাধ্যমের কাছেও এই ম্যাচের আবেদন কমতে কমতে এখন প্রায় শূন্যের কোটায়।
লোকে বলে, এখন বিনোদনের অনেক উপকরণ হাতের কাছে। যে স্যাটেলাইট চ্যানেলের সূচনা দিয়ে আবাহনী-মোহামেডান দ্বৈরথ নিয়ে আগ্রহে কমা শুরু করেছিল, এখন তো সেই স্যাটেলাইট টিভি ছাপিয়ে আরও অনেক বিনোদনের অনুষঙ্গ মানুষের হাতে। স্মার্ট ফোন, ইন্টারনেটের যুগে কোনো কিছুই এখন আর অপ্রতুল নয় মানুষের কাছে। ইউরোপের বিভিন্ন লিগের খেলা দেখতে দেখতে অনেক সময়ই মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তাই আর আবাহনী-মোহামেডান তাদের টানে না। ডিজিটাল যুগে যেখানে শুধু রিমোট টিপলেই নয়, হাতের ফোনের স্ক্রিনে স্পর্শ করলেই ইউরোপের শীর্ষ সব লিগের খেলা দেখা যায়, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসিরা যেখানে বাসার ড্রয়িংরুমের স্থায়ী বাসিন্দা, সেখানে কার এত দায় পড়েছে যানজট, জলজট আর গণপরিবহনের অপ্রতুলতার এই শহরে মাঠে গিয়ে আবাহনী-মোহামেডানের খেলা দেখার! আগে ফুটবলপ্রেমীরা আধুনিক, উন্নত ফুটবল দেখার সুযোগ পেতেন কালেভদ্রে। নির্দিষ্ট করে বললে চার বছর পরপর বিশ্বকাপের সময়। তাই ভিড় জমাতেন আবাহনী-মোহামেডানের লড়াইয়ে, একটু রক্ত গরম করা বিনোদনের আশায়। একটু রোমাঞ্চিত হওয়ার আশায়। এখন রোমাঞ্চের তো অভাব নেই।
সত্যিই কি তাই! সত্যিই কি মেসি-রোনালদোদের খেলা দেখতে দেখতে এখন আবাহনী-মোহামেডান নিয়ে সবাই আগ্রহ হারিয়েছে? তাহলে পাশের শহর কলকাতা নিয়ে কী বলবেন! ওখানে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান দ্বৈরথ নিয়ে উত্তেজনাটা তো রয়ে গেছে প্রজন্মের পর প্রজন্মের মানসপটে। কলকাতার মানুষের ঘরে কি স্যাটেলাইট টিভি নেই, তারা কি ওটিটিতে বিনোদিত হন না! আসলে, কলকাতায় ফুটবল সংস্কৃতিটা এখনো অটুট। প্রায়ই বিশাল কলকাতা নগর মিশে যায় এক কেন্দ্রে। ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগানের ঐতিহ্যের লড়াই উদ্বেলিত করে কলকাতার নাগরিকদের। তাঁরা রোমাঞ্চিত হন, আত্মার আকর্ষণ বোধ করেন এই ম্যাচ ঘিরে। যেটি গত দুই দশকে বাংলাদেশ থেকে পুরোপুরি হারিয়ে গেছে।
কেন হারিয়ে গেল! সেটিই এখন আমাদের ভেবে দেখা দরকার। জাতীয় দলের ব্যর্থতার কথা যাঁরা বলেন, তারা যে সব সময় সঠিক, সেটি বলা যাবে না। ফুটবল খেলাটা দুনিয়ার কোথাও জাতীয় দল ভিত্তিক নয়। ক্লাব ভিত্তিক। পৃথিবীতে এমন অনেক দেশই আছে, যারা আন্তর্জাতিক ফুটবলে মোটেও সফল নয়, কিন্তু তাদের দেশের ঘরোয়া ফুটবল জমজমাট। ক্লাব ফুটবল খেলাপ্রেমীদের আকর্ষণের কেন্দ্রে। সবচেয়ে বড় উদাহরণ ইংল্যান্ড! ১৯৬৬ সালে সর্বশেষ কোনো আন্তর্জাতিক ট্রফি (বিশ্বকাপ) জেতা দেশটি যদি ‘জাতীয় দলের ব্যর্থতা’র ফর্মুলা অনুসরণ করত, তাহলে তো সেই দেশ থেকে ফুটবলই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার কথা। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া কিংবা ভারতের কথাই ধরুন। এসব দেশের আন্তর্জাতিক সাফল্য কি! এই দেশগুলোতে তো ফুটবল খেলারই কথা নয়। অথচ, এসব দেশের ঘরোয়া ফুটবলে ক্লাব-সংস্কৃতিটা রয়ে গেছে। মানুষের কাছে এখনো আনন্দের উপকরণ দেশের ঘরোয়া ফুটবল।
আসলে আবাহনী-মোহামেডান দ্বৈরথ হারিয়ে গেছে সময়ের সঙ্গে নিজেদের পরিবর্তন না করার জন্যই। এই দুটি ক্লাব কি কখনো নতুন প্রজন্মের সমর্থকদের নিয়ে কোনো উদ্যোগ নিয়েছে? ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের এ যুগে এ দুটি ক্লাব এখনো পড়ে আছে সেই প্রস্তর যুগে। ফেসবুক, টুইটার বা ইনস্টাগ্রাম কেন্দ্রিক যুগে আবাহনী-মোহামেডানের ভূমিকা কি! তাদের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার কোনো কারণ কি নতুন প্রজন্মের সামনে ঘটেছে? ফুটবল যেমন ক্লাব ভিত্তিক খেলা, তেমনি তারকা-নির্ভর খেলা। আবাহনী-মোহামেডান কি নিজেদের উদ্যোগে প্রতিভাবান ফুটবলার খুঁজে বের করেছে? ভাবতে অবাক লাগে এই দুই ক্লাবের খেলোয়াড় তৈরির কোনো প্রকল্পই নেই। নব্বইয়ের দশকের পর দুই ক্লাব এমন কোনো খেলোয়াড় তৈরি করতে পারেনি, যাদের খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে ভিড় করবে ফুটবলপ্রেমীরা।
আবাহনীর বয়স অর্ধ শতাব্দী, মোহামেডানের বয়স আরও বেশি। এত বছরে এ দুটি ক্লাব কি নিজেদের পূর্ণ পেশাদার রূপ দিতে পেরেছে? দুটি ক্লাবই পড়ে রয়েছে সেই যুগে, যখন ধনাঢ্যদের আর্থিক সাহায্য ছাড়া চলার কোনো উপায় ছিল না। পৃথিবীর যে সব বড় বড় ক্লাবের খেলা দেখে প্রজন্ম মুগ্ধ, তারা সবাই পেশাদার। শুধু পেশাদারই নয় এক একটি ক্লাব যেন এক একটি করপোরেট জায়ান্ট। আবাহনী-মোহামেডান রাতারাতি তেমন কিছু হয়ে যাবে, সেই স্বপ্ন কেউ দেখে না, কিন্তু অন্তত পেশাদারির সূচনাটা তো তারা করে ফেলতে পারত! নিজেদের আর্থিক সঙ্গতিটা তো তারা বাড়াতে পারত! গত পঞ্চাশ বছরে এসবের কিছুই তারা করেনি। ভাবা যায়, এ যুগে এই দুই ক্লাবের নিজস্ব কোনো স্টেডিয়াম নেই! আবাহনীর তাও নিজস্ব অনুশীলনের একটা মাঠ আছে, মোহামেডানের তাও নেই।
বর্তমান সময়ে ক্লাব সংস্কৃতির মূল বিষয়ই হচ্ছে ক্লাবের জার্সি, মাফলার, চাবির রিংসহ নানা ধরনের পণ্যের বিপণন। ইউরোপের ক্লাবগুলোর এত দর্শকপ্রিয়তার পেছনে রয়েছে এই পণ্য বিপণন। কিন্তু বাংলাদেশে এর কোনো বালাই নেই। আবাহনী-মোহামেডান কখনো ভাবেইনি যে এগুলো করা উচিত। প্রতিবছর একটা দল বানিয়ে খেলতে হবে বলেই যেন খেলা। এর বাইরে আর কিছু নেই। নিজেদের সাজিয়ে-গুছিয়ে দর্শকদের সামনে তুলে ধরার কোনো ইচ্ছাই নেই দুই দলের।
বাফুফেরও দায় আছে। দেশে যে একটা লিগ হয়, এটিকে অর্থকরী করার কোনো উদ্যোগ কি দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা কখনো নিয়েছে। প্রাসঙ্গিকভাবেই ক্রিকেটের প্রসঙ্গ এসে যাচ্ছে। ২০০৮ সালে আইপিএল শুরু করার পর এটি এখন বাণিজ্যিক ও আর্থিক দিক দিয়ে ইউরোপের যেকোনো ফুটবল লিগের সমতুল্য—প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিজেদের ফ্যানবেইজ তৈরি করে ফেলেছে। আইপিএলের কথা বাদ দিই। ভারত গত কয়েক বছর ধরে যে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবল লিগ শুরু করেছে (আইএসএল) সেটিও এখন অর্থকরী। চাকচিক্যের মোড়কে এই লিগ এখন চরম প্রতিযোগিতামূলক। মোট কথা ফুটবলপ্রেমীদের কাছে এই লিগও আকর্ষণীয়। কিন্তু আমাদের প্রিমিয়ার লিগ! এই লিগ কখন শুরু হয়, কখন শেষ হয় কেউই জানে না। আবাহনী-মোহামেডান দ্বৈরথ নিয়ে রোমাঞ্চ, কিংবা ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখানে তো অনেক দূরের বিষয়।
এত ‘না’ আর ‘নেই’ যে দেশের ফুটবলের ভবিতব্য, সেখানে আবাহনী-মোহামেডান দ্বৈরথ আলাদাভাবে ফুটবলপ্রেমীদের আকর্ষণ করবে—এমনটা ভাবা শক্ত। তবে উদ্যোগে কি না হয়! আবাহনী-মোহামেডানই না হয় উদ্যোগটা নিক। তাদের উদ্যোগই আবার ফেরাতে পারে আনন্দের এক উপলক্ষ। ফুটবলপ্রেমীরা খুব ভালো করেই জানেন, বোঝেন, এমন দ্বৈরথ কতটা আনন্দের, কতটা রোমাঞ্চের।