মেসি ও এমবাপ্পে
মেসি ও এমবাপ্পে

বিশ্বকাপজয়ী তারকা পাবেই যে ক্লাবগুলো

মেসি-এমবাপ্পেকে নিয়ে যখন দুনিয়া বিভক্ত, আড়ালে দাঁড়িয়ে পিএসজি সভাপতি নাসের আল খেলাইফি কি মুচকি হাসছেন? হাসতেই পারেন। যিনিই জিতুন, বিশ্বকাপ ট্রফির ছোঁয়া তো তাঁর ক্লাবও পাবে। অবশ্য শুধু পিএসজিই নয়, এমন আরও অনেক ক্লাবই আছে, যারা নিশ্চিতভাবে বিশ্বকাপের ছোঁয়া পেতে যাচ্ছে। আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স—ফাইনালের দুই দলেই অন্তত একজন করে খেলোয়াড় আছেন সেসব ক্লাবের।

পিএসজি

আর্জেন্টিনা: লিওনেল মেসি

ফ্রান্স: কিলিয়ান এমবাপ্পে

ইতিহাসের চূড়ায় ওঠার পথে রোববার দুই সতীর্থ মেসি-এমবাপ্পে হবেন একে অন্যের সবচেয়ে বড় বাধা। দুই দেশের বিশ্বকাপ জয়ের অনেকটাই নির্ভর করবে মেসি-এমবাপ্পের পায়ের ঝলকানির ওপর। গোল্ডেন বল ও গোন্ডেন বুটের লড়াইয়েও একে অন্যের প্রতিপক্ষ তাঁরা। সঙ্গে আছে ব্যালন ডি’অরের মঞ্চে বাজিমাত করার সুযোগও। সব মিলিয়ে আজ লুসাইলে দেখা মিলতে পারে ইতিহাসের অন্যতম সেরা দ্বৈরথের।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

আর্জেন্টিনা: লিসান্দ্রো মার্তিনেজ

ফ্রান্স: রাফায়েল ভারানে

রক্ষণে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে জুটি বেঁধে লড়েন তাঁরা। বলা হচ্ছে রাফায়েল ভারানে ও লিসান্দ্রো মার্তিনেজের কথা। ইউনাইটেডের এই দুই রক্ষণ–কান্ডারি আজ বিশ্বকাপের ফাইনালে লড়বেন একে অন্যের মুখোমুখি হয়ে। ভারানে শুরু থেকে মাঠে থাকলেও মার্তিনেজকে হয়তো অপেক্ষা করতে হবে বদলি নামার। তবে যখনই সুযোগ পান, রক্ষণ-দুর্গ সামলানোর গুরুদায়িত্ব থাকবে তাঁদের কাঁধে।

আতলেতিকো মাদ্রিদ

আর্জেন্টিনা: আনহেল কোরেয়া, নাহুয়েল মলিনা, রদ্রিগো দি পল

ফ্রান্স: আঁতোয়ান গ্রিজমান

বিশ্বকাপ ফাইনালে দুই দল মিলিয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদকে প্রতিনিধিত্ব করবেন সর্বোচ্চ চারজন ফুটবলার। যেখানে আর্জেন্টিনার হয়ে থাকবেন কোরেয়া, মলিনা ও দি পল। আর ফ্রান্সের হয়ে মাঠে থাকবেন গ্রিজমান। বিশ্বকাপ জিততে হলে দুই দলের মিডফিল্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে হবে গ্রিজমান ও দি পলকে। বিশেষ করে বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ফ্রান্সের মিডফিল্ড জেনারেলের দায়িত্বটা দারুণভাবে পালন করছেন গ্রিজমান। অন্য দিকে দি পলও নিজেকে উজাড় করে দেবেন মেসির হাতে ট্রফি তুলে দিতে।

টটেনহাম

আর্জেন্টিনা: ক্রিস্টিয়ান রোমেরো

ফ্রান্স: উগো লরিস

ক্রিস্টিয়ান রোমেরো ও উগো লরিস—টটেনহামে সতীর্থ তাঁরা। লরিস অবশ্য ইতিমধ্যে পেয়েছেন ক্লাব কিংবদন্তির মর্যাদা। সে তুলনায় রোমেরোকে এখনো নতুন মুখই বলা যায়।। লরিস যখন ৩৫-এ দাঁড়িয়ে বিদায়ের ডাক শুনছেন, ২৪ বছর বয়সী রোমেরো এখন ডানা মেলতে শুরু করেছেন। ২০২১ সালে আতালান্তা থেকে ধারে টটেনহামে খেলতে আসেন রোমেরো। চলতি মৌসুমে দুই পক্ষের চুক্তিটা স্থায়ী রূপও নিয়েছে। আজ ফাইনালের ফল যা–ই হোক, লন্ডনের ক্লাবটিতে এবার একজন বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড় থাকবেনই।

জুভেন্টাস

আর্জেন্টিনা: দি মারিয়া, লিয়ান্দ্রো পারেদেস

ফ্রান্স: আদ্রিয়াঁ রাবিও

ক্লাব ফুটবলে জুভেন্টাস নিজেদের ইতিহাসের অন্যতম বাজে সময় পার করছে। তবে বিশ্বকাপ ফাইনালে ‘তুরিনের বুড়ি’রা চাইলে নিজেদের উপস্থিতি নিয়ে গর্বিত হতে পারে। তুরিনের ক্লাবটির হয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে উপস্থিত থাকবেন তিনজন খেলোয়াড়। আর্জেন্টিনার হয়ে ট্রফির জন্য লড়বেন দি মারিয়া ও লিয়ান্দ্রো পারেদেস। আর ফ্রান্সের জার্সিতে দেখা যাবে রাবিওকে। লিগ শিরোপা জয় নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও বিশ্বকাপ ট্রফির কিছুটা ছোঁয়া যে জুভরা পাচ্ছে, তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।