সৌদি আরব—মরুর দেশটি লিওনেল মেসির জন্য সৌভাগ্যের নাকি দুর্ভাগ্যের? আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক এমনিতে সৌদি আরবের পর্যটনদূত। আরব দেশটির সঙ্গে সেদিক থেকে তাঁর সম্পর্ক বেশ ভালো। পর্যটনদূত হওয়ার পর বছরে অন্তত একবার পরিবারসহ সৌদি আরবে বেড়াতে যাচ্ছেন মেসি।
শুধু পর্যটনদূত হিসেবে বেড়ানোই নয়, মেসি দুই বছর ধরে সৌদি আরবে যাচ্ছেন ফুটবল খেলতেও। গত বছর পিএসজির হয়ে প্রাক্-মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলেন। আল হিলাল ও আল নাসরের মিলিত একাদশের বিপক্ষে পিএসজির ৫-৪ ব্যবধানের জয়ে একটি গোলও করেছিলেন।
তারও আগে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে সৌদি আরবের বিপক্ষে খেলেছিল মেসির আর্জেন্টিনা। গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে আর্জেন্টিনা হেরে গিয়েছিল ২-১ গোলে। এবার আবার মেসি সৌদি আরবে গেছেন আল হিলাল ও আল নাসরের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলতে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দল আল নাসরের কাছে অবশ্য ৬-০ গোলে উড়ে গেছে মেসির ইন্টার মায়ামি।
চোটের কারণে এ ম্যাচে আল নাসরের হয়ে খেলতে পারেননি রোনালদো। মেসিও শেষ দিকে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছেন। তিনি মাঠে নামার আগেই ৬-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে মায়ামি। ভিআইপি গ্যালারিতে বসে আল নাসরের কাছে মেসির মায়ামির বিধ্বস্ত হওয়াটা উপভোগ করেছেন তাঁর এক সময়ের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বী রোনালদো।
মেসিদের এভাবে উড়ে যাওয়া ম্যাচের পর তাঁকে ও তাঁর দল মায়ামিকে নিয়ে মজা করেছেন সৌদি আরবের বিনোদন বিভাগের চেয়ারম্যান তুর্কি আলালশিখ। এসএসসি টেলিভিশনের এক লাইভ প্রোগ্রামে তিনি মেসিকে একটি খোঁচাও দিয়েছেন।
সৌদি আরবে ফুটবলে মেসির অম্লমধুর অভিজ্ঞতার সূত্র ধরে তুর্কি আলালশিখ বলেছেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে, সে (মেসি) জানত ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর চোট আছে। সে হয়তো বুঝতে পেরেছিল, আল নাসর তাদের উড়িয়ে দেবে। তাই ক্রিস্টিয়ানোবিহীন আল নাসরের কাছে হার এড়াতে চেয়েছে সে। মেসির জন্য সৌদি আরব অভিশাপ হয়ে উঠছে।’
এবারের সৌদি আরব সফরে মেসির ইন্টার মায়ামি এর আগে আল হিলালের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচে হেরেছে ৪-৩ গোলে।
যুক্তরাষ্ট্রে মেজর লিগ সকারের পরের মৌসুম শুরু এ মাসের শেষ দিকে। সর্বশেষ মৌসুমে ইস্টার্ন কনফারেন্সে ১৫ দলের মধ্যে ১৪তম হয়েছিল মায়ামি।