লা লিগায় এক মৌসুমে (২০১৬-১৭) সবচেয়ে বেশি ৮২ গোল হজমের ‘রেকর্ড’টা গিয়ের্মো ওচোয়ার। আবার ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি সেভের কীর্তিও এ মেক্সিকান গোলরক্ষকের
ক্লাব ফুটবলের মতোই তাঁর আন্তর্জাতিক ফুটবলের পথচলা। সারা বছর আহামরি কিছু নেই। কিন্তু বিশ্বকাপ এলেই যেন মেক্সিকান দেয়াল হয়ে যান ৬ ফুট উচ্চতার এই গোলকিপার। ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিল আর ২০১৮ বিশ্বকাপে জার্মানির পর এবার কাতারেও প্রমাণ করেছেন, তাঁর দেয়ালের কত ক্ষমতা।
প্রথম ম্যাচে মেক্সিকো যে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ১ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে, তার মূলে ছিলেন ওচোয়াই। সেদিন রবার্ট লেভানডফস্কির পেনাল্টি রুখে দিয়েছিলেন ওচোয়া। ৩৭ বছর বয়সী এই গোলকিপারের সামনে এবার লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা।
একসময় লা লিগায় মালাগা ও গ্রানাডায় খেলেছেন, তাই মেসির খেলার সঙ্গে ভালোই পরিচিতি আছে। ৩৫ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন তারকাকে নিয়ে আছে মুগ্ধতাও। মেসি তাঁর চোখে ‘ফুটবল ইতিহাসের সেরা যদি না–ও হন, অন্যতম সেরা’।
কেন অন্যতম বিশ্বসেরা, সেটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবে, ‘মেসি জাদু জানে। দেখা গেল ম্যাচে সে কিছুই করছে না। কিন্তু হুট করেই মিনিটের মধ্যে একটা গোল করে দিতে পারে।’
আগামীকাল আচমকা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারা মেসিকে সামালের চূড়ান্ত দায়িত্বটা ওচোয়ার। প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হেরে আর্জেন্টিনা এখন বেকায়দায়। শেষ ষোলোর সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে জিততেই হবে মেক্সিকোর বিপক্ষে। ওচোয়ার দলও অবশ্য সুবিধাজনক জায়গায় নেই। পোল্যান্ডের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করায় জয় দরকার তাদেরও।
আর্জেন্টিনা বা মেক্সিকো কারও জন্যই যে ম্যাচটা সহজ হবে না, সেটি ভালোমতোই জানেন ওচোয়া, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটা ম্যাচ হতে চলেছে। দুই দলের জন্যই লড়াইটা বেশ জটিল। তবে বিশ্বকাপে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়টির বিপক্ষে খেলার চেয়ে সুন্দর দৃশ্য আর কী হতে পারে!’
ওচোয়ার মতে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের সেরা সুযোগ এখনই। বিশেষ করে মেসিকে নিয়ে গড়া আর্জেন্টিনার মতো আক্রমণভাগের সামনে, ‘যার বিপক্ষে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হয়, তার সঙ্গে খেলতে ভালো লাগে না—এমনটা আমি বলব না, আমি বলব উল্টোটা। আমি সেরাদের বিপক্ষেই খেলতে চাই এবং হারাতে চাই। লড়াই করতে আমরা প্রস্তুত।’