ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে
ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে

এমবাপ্পে কেন ফেরারি চালাতে পারবেন না

১২ কোটি ৮০ লাখ ডলার!

এটি ২০২২–২৩ মৌসুমে কিলিয়ান এমবাপ্পের আয়ের পরিমাণ—তথ্যটি ফোর্বসের। এর মাধ্যমে ২৪ বছর বয়সী ফরাসি তারকা আয়ের দিক থেকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং লিওনেল মেসিকে টপকে গেছেন বলে জানিয়েছে বিশ্বখ্যাত মার্কিন সাময়িকীটি। বেশি আয়ের সঙ্গে জড়িত বিলাসবহুল জীবনযাপন।

এমবাপ্পের সেই বিলাসী জীবনে নতুন সংযোজন হতে যাচ্ছে ফেরারি গাড়ি। তবে বিশ্বখ্যাত সুপারকারটি কিনলেও চালাতে পারবেন না এমবাপ্পে। কেন পারবেন না, তা অনেকের কাছে অদ্ভুত লাগতে পারে। তবে এমবাপ্পে মনে করছেন এমনটা স্বাভাবিকই।

যাতায়াতে চালকের আসনে বসেন না এমবাপ্পে

যুক্তরাষ্ট্রের লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন জিকিউর বরাত দিয়ে স্পেনের মার্কা এএস জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী বিত্তবানদের আগ্রহের তুঙ্গে থাকা ইতালিয়ান সুপার কার ফেরারি কিনেছেন এমবাপ্পে। এ মধ্যে দুটি মডেল পছন্দ করেছেন তিনি।

একটি ফেরারি ৪৮৮ পিস্তা, আরেকটি ফেরারি এসএফ ৯০ স্ট্রাডেল। তবে কোন মডেলটি ব্যবহারের জন্য চূড়ান্ত করেছেন, তা স্পষ্ট নয়। সাধারণত একটি ফেরারি গাড়ি বিক্রি চূড়ান্ত হওয়ার পর তৈরি হতে সর্বনিম্ন তিন মাস সময় লাগে। এটি তৈরি ও অ্যাসেম্বলিং হয়ে থাকে ইতালির মারানেলোতে।

জিকিউ ম্যাগাজিনের তথ্য বলছে, ফেরারি কিনতে ৫ লাখ ইউরো খরচ হচ্ছে এমবাপ্পের, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার বেশি।

তবে ফেরারি কিনলেও আপাতত চালানোর সুযোগ নেই এমবাপ্পের। সাধারণত ফুটবলাররা নিজেরাই গাড়ি চালিয়ে অনুশীলন ও মাঠে আসা–যাওয়া করে থাকেন। কিন্তু এমবাপ্পে চালকদের সাহায্য নেন। কারণ, গাড়ি চালনার সনদ নেই তাঁর।

ব্লেচার রিপোর্টকে এক সাক্ষাৎকারে সনদ না থাকার কথা জানিয়ে পিএসজি তারকা বলেছিলেন, ‘(ক্যারিয়ারের) শুরুর দিকে সফলতা পেয়ে যাওয়ার কিছু বিপরীত দিকের একটি হচ্ছে এটি। আমি গাড়ি চালনা সনদ নিতে পারিনি।’

অবশ্য ড্রাইভিংয়ের সনদ না থাকলেও এ নিয়ে তিনি মাথা ঘামান না বলে জানিয়েছিলেন সেই সাক্ষাৎকারে, ‘আমার মনে হয় সবারই সনদ আছে। অনেকের জন্য সনদ নেওয়া ছাড়া উপায়ও থাকে না। তবে আমার জন্য ব্যাপারটা ভিন্ন। এটা যার যার পছন্দের ব্যাপার। প্রথম থেকে আমার ড্রাইভার আছে। সনদ নেওয়াটা তাই অগ্রাধিকার ছিল না।’

মাদ্রিদভিত্তিক স্প্যানিশ দৈনিক মার্কার এক খবরে বলা হয়, এমবাপ্পের গাড়ি চালনা প্রশিক্ষণের খরচ দেওয়ার কথা বলেছিল পিএসজি। কিন্তু ফরাসি তারকা বিষয়টি জরুরি মনে করেননি।