লিভারপুলের হয়ে সব জেতার পর নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে বায়ার্ন মিউনিখে গিয়েছিলেন সাদিও মানে। কিন্তু বায়ার্নের হয়ে নিজের প্রথম মৌসুমে তেমন কিছুই করতে পারেননি সেনেগালের তারকা। এমনকি বায়ার্নের হয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আরেকটি সুযোগও হয়তো পাচ্ছেন না এই ফরোয়ার্ড। এবারের দলবদলেই নাকি মানেকে ছেড়ে দিতে চায় জামার্ন চ্যাম্পিয়নরা। একাধিক ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ২ কোটি ইউরো পেলেই মানেকে ছেড়ে দেবে বায়ার্ন।
এদিকে বায়ার্নের মানেকে ছেড়ে দিতে চাওয়ার খবরে নড়েচড়ে বসেছে সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসর। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার মানের প্রতিনিধি নাকি আল নাসর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখাও করেছেন। সব মিলিয়ে আল নাসরে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে সাদিও মানের জুটি হওয়ার দারুণ এক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে চূড়ান্ত ঘোষণা পেতে হয়তো আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। মানের সৌদি আরব যাওয়ার খবরটি দিয়েছে সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরিয়াদিয়াহ।
মৌসুম শেষ হওয়ার পর থেকেই মূলত মানেকে বায়ার্নের ছেড়ে দেওয়ার গুঞ্জন শোনা যায়। গত মৌসুমে সাবেক লিভারপুল তারকাকে আনা হয়েছিল মূলত রবার্ট লেভানডফস্কির বিকল্প হিসেবে।
তবে নিজের নামের প্রতি মোটেই সুবিচার করতে পারেননি মানে। ভুলে যাওয়ার মতো এই মৌসুমে অবশ্য চোটও বেশ ভুগিয়েছে তাঁকে। পাশাপাশি সমালোচিত হয়েছেন সতীর্থ লিরয় সানের সঙ্গে মারামারি করেও। আর মাঠের পারফরম্যান্সে গত মৌসুমে ৩৮ ম্যাচ খেলে মানে গোল করেছেন মাত্র ১২টি। তা ছাড়া বেশির ভাগ ম্যাচে ৩১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড তেমন কোনো প্রভাবও রাখতে পারেননি। এ সময়ের মধ্যে দামেও বেশ পতন হয়েছে তাঁর। এক বছরে কমেছে ৪ কোটি ৫০ লাখ ইউরো, দাম কমার হার ৬৪.৩ শতাংশ।
তবে মানেকে দলে টানা আল নাসরের জন্য সহজ হবে না। এরই মধ্যে রোনালদোর ক্লাবকে নতুন খেলোয়াড় নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফিফা। এর ফলে সৌদি আরবের ভেতরে অথবা বাইরের দেশের ক্লাব থেকে কোনো খেলোয়াড় দলভুক্ত করতে পারবে না তারা। মানেকে দলে ভেড়াতে হলে আগে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে ক্লাবটিকে।