লিওনেল মেসি তখন চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন, নিজেদের মাঠে নিউইয়র্ক রেড বুলস ইন্টার মায়ামিকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল। মেসিকে ফিরে পেয়ে আজকের ম্যাচের আগে নিউইয়র্ক রেড বুলসকে হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন মায়ামির কোচ জেরার্দো মার্তিনো। সরাসরিই বলেছিলেন প্রতিশোধ নেওয়ার কথা।
মার্তিনোর হুমকি বৃথা যেতে দেননি মেসি। ঘরের মাঠ ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেলের চেজ স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মায়ামিকে এনে দিয়েছেন ৬-২ গোলের বিশাল জয়। মায়ামির প্রতিশোধের এই জয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন লুইস সুয়ারেজ। আর মেসি এক গোলের পাশাপাশি পাঁচটি অ্যাসিস্ট করেছেন। মায়ামির অন্য দুটি গোল করেছেন প্যারাগুইয়ান মিডফিল্ডার মাতিয়াস রোহাস।
অথচ ম্যাচের শুরুটা ছিল অন্য রকম। ৩০ মিনিটে দান্তে ভানজেইরের গোলে এগিয়ে যায় রেড বুলস। প্রথমার্ধে সেই গোল শোধ দিতে পারেনি মায়ামি। সেই সময় মনে হচ্ছিল বৃথাই যাচ্ছে মার্তিনোর হুমকি। রেড বুলসের কাছে হয়তো আরেকটি হারের হতাশাই সঙ্গী হবে মেসি-সুয়ারেজদের।
কিন্তু বিরতির পর ফিরে ম্যাচের চেহারা পাল্টে দেন মায়ামির খেলোয়াড়েরা। মার্তিনোর একটা বদলিও বেশ কাজে লাগে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই তিনি মাঠে নামার প্যারাগুয়ের মিডফিল্ডার রোহাসকে।
মাঠে নামার ৩ মিনিটের মধ্যেই দুর্দান্ত এক গোলে মায়ামিকে সমতায় ফেরান রোহাস। মেসির একটি পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া শটে গোলটি করেন তিনি। ২ মিনিট পর স্কোরশিটে নাম লেখান মেসি। সুয়ারেজের পাস থেকে মেসির করা গোলে এগিয়ে যায় মায়ামি।
৬২ মিনিটে মেসির পাস থেকে আবার গোল করেন রোহাস। এরপর ম্যাচটি যেন হয়ে পড়ে শুধুই মেসি-সুয়ারেজময়। ১৩ মিনিটের মধ্যে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সুয়ারেজ আর তাঁর সেই তিন গোলে অবদান রাখেন মেসি।
সুয়ারেজ তাঁর প্রথম গোলটি করেন ৬৮ মিনিটে। এরপর ৭৫ ও ৮১ মিনিটের গোলে পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক। যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে রেড বুলসের ব্যবধান কমান এমিল ফোর্সবার্গ।
এই জয়ের পর ১২ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট হয়েছে মেজর লিগ সকারের ইস্টার্ন কনফারেন্সের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা মায়ামির। দুই কনফারেন্স মিলিয়েই শীর্ষে আছেন মেসিরা। এই ম্যাচের গোলটি নিয়ে এবারের মেজর লিগ সকারে মেসির গোলসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০টিতে। হ্যাটট্রিক করে সুয়ারেজও গোলসংখ্যায় ছুঁয়ে ফেলেছেন মেসিকে। ১০টি করে গোল নিয়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা যৌথভাবে তাঁরা দুজনই। একদিক থেকে মেসি অবশ্য অনেক এগিয়ে। আর্জেন্টাইন তারকা যে সতীর্থদের করা ৯টি গোলে রেখেছেন অবদান।