‘ম্যানচেস্টার ডার্বি’তে ইউনাইটেড আর লিগ কাপে সাউদাম্পটনের কাছে হারের ক্ষত এখনো শুকায়নি। ইতিহাদে ম্যানচেস্টার সিটিকে টানা তৃতীয় হারের চোখরাঙানি দিচ্ছিল টটেনহাম হটস্পার।
তবে প্রথমার্ধে দুই গোল হজম করা পেপ গার্দিওলার দল দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় দারুণভাবে। হুলিয়ান আলভারেজ আর আর্লিং হলান্ড এনে দেন সমতা, এরপর জোড়া গোলে ৪-২ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন রিয়াদ মাহরেজ।
এই জয়ে প্রিমিয়ার লিগ পয়েন্ট তালিকায় আর্সেনালের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে আনল ম্যানচেস্টার সিটি। ১৯ ম্যাচ খেলে গার্দিওলার দলের পয়েন্ট ৪২। এক ম্যাচ কম খেলে আর্সেনালের পয়েন্ট ৪৭।
ইতিহাদে স্পার্সদের বিপক্ষে ম্যাচটিকে ‘মাস্ট-উইন’ বলে উল্লেখ করেছিলেন গার্দিওলা। জিততে না পারলে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের সঙ্গে শুধু ব্যবধানই বাড়বে না, শিরোপাদৌড়ে ছিটকে যাওয়াও প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাবে। গার্দিওলার সেই শঙ্কাই বাস্তব হয়ে দেখা দেয় ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষ দিকে।
৪৪ মিনিটে দিয়ান কুলুসেভস্কি আর যোগ করা সময়ে এমারসন রয়ালের দুই গোলে এগিয়ে যায় টটেনহাম। হলান্ড, আলভারেজরা বিরতিতে মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সময় দুয়ো দেন সিটি সমর্থকরা। দ্বিতীয়ার্ধে এ দুই ফরোয়ার্ডই সিটিকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন।
৫১ মিনিটে আলভারেজ আর ৫৩ মিনিটে হলান্ড গোল করার পর পুরো দলই যেন জয়ের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। ৬৩ মিনিটে সিটিকে তৃতীয় গোলটি এনে দেন আলজেরিয়ান ফরোয়ার্ড মাহরেজ। জয় নিশ্চিত করা চতুর্থ গোলটি আসে ৯০ মিনিটে।
শেষ পর্যন্ত বড় ব্যবধানে জয় পেলেও আত্মতুষ্টির জন্য খেলোয়াড় ও সমর্থকদের সমালোচনা করেছেন গার্দিওলা। মাঠে খেলোয়াড়দের ভূমিকার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা চারবার ফাউলের শিকার হলাম, কিন্তু কোনো প্রতিক্রিয়া দেখালাম না। আমাদের সাহস বলতে কিছু ছিল না। আমরা সৌভাগ্যবান (এরপরও জিতেছি)। কিন্তু এটা যদি দ্রুতই না বদলাতে পারি, পয়েন্ট হারাব।’
খেলোয়াড়দের পাশাপাশি বিরতিতে দুয়ো দেওয়া দর্শকদেরও একহাত নিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটি কোচ, ‘আমাদের খেলায় প্রথম মিনিট থেকে আবেগ, উদ্যম, ক্ষুধা এসব ছিল না। সমর্থকদের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই ছিল। তারা ৪৫ মিনিট পর্যন্তু চুপ ছিল। যখন হেরে যাচ্ছি মনে হয়েছে, দুয়ো দিয়েছে। এই ব্যাপারটা হয়তো দলের মধ্যেও কাজ করে যে, আমরা তো পাঁচ বছরের মধ্যে আমরা চারটা প্রিমিয়ার লিগ জিতেছি। প্রথম গোলের পরই কেবল দর্শকদের আওয়াজ পাওয়া গেছে।’