তাঁকে ভাবা হয় রিয়াল মাদ্রিদের ভবিষ্যৎ কান্ডারিদের একজন। অথচ সেই রদ্রিগোই নাকি এখন রিয়াল ছাড়ার পথে। কিন্তু কেন? গুঞ্জন চলছে, কোচ কার্লো আনচেলত্তির সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরার কারণেই এখন রিয়াল ছাড়তে হতে পারে ব্রাজিলিয়ান তরুণকে।
২০১৯ সালে ৪ কোটি ৫০ লাখ ইউরোতে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোস ছেড়ে ‘লস ব্লাঙ্কোস’ শিবিরে আসেন রদ্রিগো। বয়স মাত্র ২২ বছর হলেও এর মধ্যে তারকাবহুল রিয়ালে নিজেকে আলাদাভাবে চিনিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। ম্যাচ-টাইম কম পেলেও কদিন আগপর্যন্তও সবকিছু ঠিকঠাকভাবেই চলছিল।
তবে এর মধ্যে ভিলারিয়ালের বিপক্ষে কোপা দেল রের ম্যাচে ক্যামেরার সামনেই কোচ আনচেলত্তির সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারকে। মূলত ম্যাচে তাঁকে বদলি হিসেবে তুলে নেওয়ার বিষয়টা মানতে পারেননি রদ্রিগো।
নামার সময় কোচের সঙ্গে হাতও মেলাননি। শিষ্যের এমন আচরণ ভালোভাবে নিতে পারেননি আনচেলত্তি। রদ্রিগোকে সবার সামনে বকা দিতে দেখা যায় তাঁকে। তবে এটুকুতেই সেদিনের ঘটনাটি শেষ হয়ে যায়নি।
ভেনেজুয়েলার বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম এল নাসিওনাল জানায়, ঘটনার পর দলের মধ্যেই রদ্রিগোর আনুগত্য ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি আনচেলত্তির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও নাকি ভেঙে পড়েছে। রদ্রিগোর এমন আচরণ দেখে ইতালিয়ান এই কোচ নাকি বেশ হতাশা প্রকাশ করেছেন।
সব মিলিয়ে সেই ঘটনার পর রদ্রিগোকে দ্রুত ছেড়ে দিতে চায় রিয়ালও। এর আাগে বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করেও আলোচনায় এসেছিলেন রদ্রিগো। তাঁর সেই মিসের পর সেদিন টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল ব্রাজিলকে।
এদিকে রদ্রিগোকে ছেড়ে দেওয়ার খবর সামনে আসতে এরই মধ্যে বেশি কিছু ক্লাব নাকি তাঁর ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। রিয়ালের হয়ে ১৩৪ ম্যাচ খেলে ২৬ গোল করার পাশাপাশি ২৭টি গোলে সহায়তাও করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান।