মালদ্বীপের বিপক্ষে গোল খাওয়ার পর হতাশ বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। আজ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়
মালদ্বীপের বিপক্ষে গোল খাওয়ার পর হতাশ বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। আজ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়

বারবার শিখিয়েও কাজ হচ্ছে না, হতাশ বাংলাদেশ কোচ

হাভিয়ের কাবরেরা গতকাল ঘোষণার মতো করেই বলেছিলেন, মালদ্বীপের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক এক বাংলাদেশকে দেখা যাবে। আজ কিংস অ্যারেনায় সেই ‘আক্রমণাত্মক’ বাংলাদেশকেই দেখলেন দর্শকেরা।

মালদ্বীপের সীমানায় একের পর এক আক্রমণ গড়ে, গোলের সুযোগও তৈরি করলেন রাকিব হোসেন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, শেখ মোরছালিন, শাহরিয়ার ইমনরা। কিন্তু গোলটাই হলো না। মালদ্বীপের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলেও ১-০ গোলের হারই সঙ্গী বাংলাদেশের। কোচ কাবরেরা ম্যাচের পর বললেন, ‘দুঃখজনক।’

দল যদি একের পর এক সুযোগ তৈরি করেও গোল করতে না পারে, সেটি যেকোনো কোচের জন্যই দুঃখজনক, ‘এত এত সুযোগ তৈরি হলো, কিন্তু গোল হলো না। সত্যিই দুঃখজনক।’

কাবরেরা মনে করেন আজ মালদ্বীপের বিপক্ষে তাঁর দল যা যা করার সবই করেছে, শুধু গোলটাই করতে পারেনি, ‘আজকে আমাদের যা যা করার দরকার ছিল, সবই করেছি। আমি পরিসংখ্যানটা দেখলে আরও পরিষ্কার বুঝতে পারব। আমরা আক্রমণে গিয়েছি, গোলের সুযোগ তৈরি করেছি, বল হারালে আবার বলের দখল নিয়েছি, গোলটাই শুধু বাকি ছিল। এ ম্যাচ গোলশূন্যভাবে শেষ হতে পারত, আমরা যদি জিততাম, তাহলে আমাদের ৩/৪ গোলে জেতা উচিত ছিল। বাংলাদেশ জাতীয় দল, অনূর্ধ্ব-২৩ দল—যতগুলো ম্যাচে আমি কোচ ছিলাম, আমি মনে করি, এ ম্যাচেই আমার দল সবচেয়ে বেশি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল।’

বারবার আক্রমণ করেও গোল আদায় করতে পারেনি বাংলাদেশ

১৮ মিনিটে যে সেট পিস থেকে মালদ্বীপ গোলটা পেল, সেটিতে রক্ষণের দায় শতভাগ। তপু বর্মণের নেতৃত্বাধীন রক্ষণভাগ ওই সময় আলী ফাসিরকে চোখেই রাখেনি। গোলকিপার মিতুল মারমার সঙ্গেও ছিল তাদের সমন্বয়হীনতা। অনেকটা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোলটা হজম করা কাবরেরাকেও চিন্তিত করেছে, ‘আমরা বারবার সেট পিসে গোল খাচ্ছি। ভুটানের বিপক্ষে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচেও এমনভাবে গোল খেয়েছিলাম। এই একটা জায়গায় বারবার শিখিয়েও কাজ হচ্ছে না। ব্যাপারটা দুশ্চিন্তা ও হতাশার।’

মালদ্বীপের কাছে কাবরেরার চোখে ‘দুঃখজনক’

এ ম্যাচের ইতিবাচক দিকগুলোই শনিবারের ম্যাচে নিতে চান কাবরেরা, ‘হারলেও আমরা আজ ভালো খেলেছি। আমি দলের পারফরম্যান্সে অখুশি নই। কারণ, তারা পরিশ্রম করেছে। এটা বড় একটা ইতিবাচক দিক। তবে এই হার কোনো কিছু দিয়েই ব্যাখ্যা করা যাবে না। এখান থেকে আমি শুধু ইতিবাচক দিকগুলোই পরের ম্যাচের জন্য নিতে পারি আমি।’