প্রস্তাবটা পেয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজার চোখের সামনে প্রথমে ভেসে উঠল দুই সন্তানের মুখ। তিনি জানতেন, বাংলাদেশে এমিলিয়ানো মার্তিনেজ আসছেন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগটা এভাবে এসে যাবে, সেটা তিনি নিজেও ভাবেননি।
আজ ভোরে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। ঢাকায় ১১ ঘণ্টার সফরে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো তারকাকে যারা আতিথেয়তা দিচ্ছে, সেই নেক্সট ভেঞ্চারসের কাছ থেকে মার্তিনেজের সঙ্গে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ পেয়ে মাশরাফি তাই প্রথম ভাবলেন কন্যা হুমায়রা ও পুত্র সাহেলের কথা। মাশরাফির মতো তাঁর দুই সন্তানও আর্জেন্টিনার পাাঁড় ভক্ত।
সকালে প্রগতি সরণিতে নেক্সট ভেঞ্চারসের কার্যালয়ে হুমায়রা আর সাহেলেকে সঙ্গে নিয়ে মার্তিনেজের সঙ্গে দেখা করেছেন মাশরাফি। বাচ্চাদের নিয়ে মার্তিনেজের সঙ্গে ছবি তুলেছেন, আর্জেন্টাইন তারকাকে উপহার হিসেবে দিয়েছেন নিজের পরা বাংলাদেশ দলের একটা জার্সিও।
মাশরাফি যখন নেক্সট ভেঞ্চারসের কার্যালয়ে যান, তখন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্তারা সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন মার্তিনেজের। সাক্ষাৎকার শেষে সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক মাশরাফির সঙ্গে মার্তিনেজের পরিচয় করিয়ে দেন। পরে আর্জেন্টাইন তারকাকে ঘুরিয়ে দেখানো হয় নেক্সট ভেঞ্চারসের কার্যালয়।
মাশরাফি-মার্তিনেজ কয়েক মিনিটের কথোপকথনও হয়েছে সেখানে। সে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার কথা শুনুন মাশরাফির মুখ থেকেই, ‘ইন্টারভিউ নেওয়ার পর পলক ভাই আমাকে ওর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে ওকে বলেছেন, আমি জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক। এটা শুনে মার্তিনেজ বলল, বাংলাদেশে তো ক্রিকেট অনেক জনপ্রিয়। আমি বললাম, ক্রিকেট এখানে এক নম্বর খেলা, তবে এ দেশের মানুষ ফুটবলও অনেক পছন্দ করে।’
মাশরাফি নিজে এবং তাঁর দুই সন্তানও আর্জেন্টিনা দলের অন্ধ ভক্ত। বিশ্বকাপের সময় সন্তানদের সঙ্গে নিজেও আর্জেন্টিনার জার্সি পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক ছবি, ভিডিও দিয়েছেন। মার্তিনেজকে সেটাও জানিয়েছেন মাশরাফি, ‘ওকে বলেছি আমি আর্জেন্টিনার ভক্ত। আমার একটা ভিডিও দেখালাম, বললাম বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার তুমুল জনপ্রিয়তা, অনেক ভক্ত।’
মার্তিনেজের কাছ থেকে এরপর অটোগ্রাফ নিয়েছে মাশরাফির সন্তানেরা, ছবি-সেলফি তুলেছে। মাশরাফির মেয়ে হুমায়রা তাঁকে উপহার দিয়েছে বাবার পরা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একটা জার্সি।
সন্তানদের মার্তিনেজ-দর্শন দিতে পেরে দারুণ আনন্দিত মাশরাফি বলছিলেন, ‘ওরা দুইটা (হুমায়রা ও সাহেল) আর্জেন্টিনার জন্য পাগলা। বিশ্বকাপ জেতা দেখছে না! দুই রাত ঘুমায় নাই। ওদের জন্যই তাড়াহুড়া করে গেছি। ওর সঙ্গে দেখা হয়েছে। বাচ্চাদের ছবি তুলে দিয়েছি। ও নিজেও পরে বাচ্চাদের সঙ্গে সেলফি নিয়েছে... আর কি লাগে!'