শুধু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো কিংবা করিম বেনজেমাতেই সীমাবদ্ধ নয়, সৌদি ফুটবল লিগের চোখ আছে আরও তারকা খেলোয়াড়ের দিকে। এরই মধ্যে তারা দলে ভিড়িয়েছে এনগোলো কান্তে, হাকিম জিয়েশ, রুবেন নেভেসদের। লিওনেল মেসি, লুকা মদরিচরা সৌদিকে না বললেও আরও বেশ কয়েকজন ফুটবলার মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে যেতে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। এই আলোচনাতে আছেন নেইমার, জর্দি আলবা, বের্নার্দো সিলভার মতো নামও।
আগে ক্যারিয়ারের শেষ দিকে থাকা ফুটবলারদের দিকে নজর থাকলেও এখন সৌদি ক্লাবগুলোর চোখ ত্রিশের নিচে থাকা ফুটবলারেও নিবদ্ধ। ছয় মাস আগেও যে লিগ আলোচনায় ছিল না, তারাই এখন বিশ্ব ফুটবলের ভিত নাড়িয়ে দেওয়ার অপেক্ষায়। এভাবে একের পর এক তারকাদের দলে ভেড়ানো পছন্দ হচ্ছে না লিভারপুলের সাবেক ফুটবলার জেমি ক্যারাগারের।
কেন? একটা কারণ অবশ্য আছে। অনেক দিন ধরে মানবাধিকার, বাক্স্বাধীনতায় কণ্ঠরোধসহ নানা বিতর্কে জড়িয়ে আছে সৌদি আরব। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি এখন খেলাধুলার মাধ্যমে বিশ্বের সামনে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে তুলতে চায়। যার অংশ হিসেবে ফুটবলে বিপুল অর্থ ঢালা হচ্ছে।
প্রচুর টাকা খরচ করা হচ্ছে গলফেও। ক্রিকেটে বিনিয়োগের কথাও শোনা যাচ্ছে। হঠাৎ করে বিভিন্ন খেলায় এভাবে টাকা ব্যয়ের কার্যক্রমকে সমালোচকেরা ‘স্পোর্টস ওয়াশিং’ নামে অভিহিত করছেন। সাবেক ইংলিশ ফুটবলার ক্যারাগারের ভাবনাও একই। তাঁর মতে, সৌদি আরবের ফুটবল দিয়ে ভাবমূর্তি ঠিক করার এই প্রচেষ্টা বন্ধ হওয়া দরকার।
এ ছাড়া ত্রিশের নিচে কিংবা যাঁরা এখনো ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে আছেন, তাঁদের সৌদি আরবে যাওয়াও পছন্দ হচ্ছে না ক্যারাগারের। কিছুদিন আগে উলভসে খেলা ২৬ বছর বয়সী ফুটবলার রুবেন নেভেসকে দলে ভিড়িয়েছে আল হিলাল। এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালকে হারানোর নায়ক বের্নার্দো সিলভাকেও কিনতে চায় আল হিলাল। ২৮ বছর বয়সী এই ফুটবলার এই মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটিকে ট্রেবল জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। এমন ফুটবলারদের সৌদি যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হওয়াতে খেপেছেন ক্যারাগার।
টুইটারে এই ফুটবল বিশ্লেষক বলেছেন, ‘বের্নার্দো সিলভা এখন তার সেরা সময়ে আছে। সে ইউরোপের গত পাঁচ বছরের অন্যতম সেরা ফুটবলার। ত্রিশোর্ধ্ব ফুটবলারদের সৌদি নেওয়াতে আমি খুব একটা উদ্বিগ্ন ছিলাম না। তবে শীর্ষ তারকাদের কাছাকাছি মানের ফুটবলার (নেভেস) নেওয়াতে আমি কিছুটা উদ্বিগ্ন। যদি এমন হয়, এটা খেলাটা পরিবর্তন করে দেয়। সৌদি আরব গলফ ও বক্সিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, এবার তারা ফুটবলের নিয়ন্ত্রণও চায়। এই স্পোর্টস ওয়াশিং বন্ধ হওয়া দরকার।’