ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচ সামনে রেখে সৌদি আরবে অনুশীলন ক্যাম্প করছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এক সপ্তাহ অনুশীলন শেষে গতকাল বাংলাদেশ সময় গভীর রাতে সুদান জাতীয় দলের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেললেন জামাল ভূঁইয়ারা। বাংলাদেশের মতোই সুদান জাতীয় দল সৌদি আরবে অনুশীলন ক্যাম্প করছে। তাইফ শহরের কিং ফাহাদ স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি শেষ হয়েছে গোলশূন্য সমতায়।
দেশ ছাড়ার আগেই কোচ হাভিয়ের কাবরেরা একটি আফ্রিকান দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা বলেছিলেন। দেশের নাম নির্দিষ্ট করে না বললেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, প্রস্তুতি ম্যাচে যথেষ্ট শক্তিশালী প্রতিপক্ষই পাবে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৮৩ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ। সুদান সেই হিসাবে বেশ এগিয়েই, ১২৭ নম্বরে।
তুলনামূলক শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ফিলিস্তিন-চ্যালেঞ্জের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করাই ছিল লক্ষ্য। কোচ কাবরেরা সৌদি আরব থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন নিজেদের লক্ষ্যে সফল বাংলাদেশ, ‘ফলাফল কী হয়েছে, সেটি এই ম্যাচে মুখ্য কোনো বিষয় ছিল না, আমরা গত সাত দিনে সৌদি আরবে কেমন অনুশীলন করলাম, সেটির প্রয়োগই ছিল আসল। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে আমি সন্তুষ্ট।’
ম্যাচে স্কোয়াডে থাকা ২৮ জনের মধ্যে ২৪–২৫ জন খেলোয়াড়কে ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে খেলিয়েছেন কোচ। তাঁর দাবি, ‘সবাই ভালো খেলেছে। আমার মনে হয় আমরা সঠিক পথেই আছি।’
সুদানের বিপক্ষে আরও একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সেটি হবে ১৪ মার্চ। ১৭ মার্চ পর্যন্ত সৌদি আরবে অনুশীলন ক্যাম্প করে বাংলাদেশ দল কুয়েতে যাবে। সেখানে ২১ মার্চ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচটি হবে। ফিলিস্তিনের সঙ্গে বাংলাদেশের হোম ম্যাচটি ২৬ মার্চ। পবিত্র রমজান মাসের জন্য কিংস অ্যারেনায় ম্যাচটি শুরু হবে বেলা সাড়ে তিনটায়।
সুদানের বিপক্ষে এর আগে একবারই খেলেছে বাংলাদেশ। ১৯৭৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টস কাপে সেই ম্যাচে ৪-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।