টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপের শেষ আট থেকে ছিটকে পড়ার পর নেইমারের কান্না
টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপের শেষ আট থেকে ছিটকে পড়ার পর নেইমারের কান্না

যে কারণে ছিটকে গেল ব্রাজিল

কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট ছিল ব্রাজিল। বিশেষ করে প্রতিপক্ষকে বিবশ করা খেলা উপহার দিয়ে শেষ ষোলোতে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পর নেইমারদের ঘিরে স্বপ্নের পরিধিটা আরও বড় হয়েছিল ব্রাজিলের সমর্থকদের। কিন্তু শেষ আটে তুলনামূলক ‘বুড়ো’দের দল ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে ব্রাজিলকে। এখন চলছে ব্রাজিলের ছিটকে পড়ার কারণ খোঁজা।

ব্রাজিলে ছিটকে পড়ার বেশ কয়েকটি কারণই আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ হয়তো টাইব্রেকারে কোচ তিতের ভুল কৌশল। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের মতো একটি চাপের ম্যাচে তিনি প্রথম কিকটি নেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন এবারই প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে আসা রদ্রিগোকে।

রদ্রিগোর নেওয়া শট ঠেকিয়ে দিলেন ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার দমিনিক লিভাকোভিচ

রিয়াল মাদ্রিদের উইঙ্গারের সামর্থ্য নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। কিন্তু এমন একটি প্রতিযোগিতায় স্নায়ু ধরে রাখার কাজটা সহজ নয়। এর ওপর ক্রোয়েশিয়া তাদের প্রথম শট থেকে গোল করে ফেলায় আরও চাপে পড়ে যান রদ্রিগো। স্নায়ু চাপ ধরে রাখতে না পারা ২১ বছর বয়সী উইঙ্গার নেন দুর্বল শট। যেটি বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে সহজেই ধরে নেন ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার দমিনিক লিভাকোভিচ।

ক্রোয়েশিয়া তাদের প্রথম চারটি শট থেকেই গোল পায়। আর রদ্রিগোর পর টাইব্রেকারে পেনাল্টি মিস করেন মার্কিনিওস। সব মিলিয়ে ১২০ মিনিট ১-১ গোলে সমতায় থাকা ম্যাচে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হারে ব্রাজিল।

গোলকিপার লিভাকোভিচকে ঘিরে ক্রােয়েশিয়ার খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাস

টাইব্রেকারের আগেও কৌশলে কিছু ভুল ছিল তিতের। ক্রোয়েশিয়ার জমাট রক্ষণ কিছুতেই ভাঙতে পারছিলেন না নেইমরা-ভিনিসিয়ুস জুনিয়ররা। সেই সময় বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার শট নেওয়ার কৌশলের বদলে তিনি দলকে খেলিয়ে যান ছোট ছোট পাসে বক্সে ঢোকার খেলা।

সেই কৌশলে খেলে নেইমারের অসাধারণ নৈপুণ্যে ব্রাজিল গোল পায় অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে। এরপর অতিরিক্ত সময়ে ব্রাজিলের মধ্যে চলে আসে গা ছাড়া একটা ভাব। সেই সময় আক্রমণ করা বাদ দিয়ে অনেকটাই নিজেদের অর্ধে নেমে আসে ব্রাজিল। সেই সুযোগে মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন মদরিচরা। এর মূল্য ব্রাজিলকে চুকাতে হয় ১১৭ মিনিটের গোলে। মাঝমাঠে ব্রাজিলের একটি ভুল পাস ধরে আক্রমণে আসা ক্রোয়েশিয়াকে সমতায় ফেরানো গোলটি করেন ব্রুনো পেতকোভিচ।