ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সতীর্থ হতে পারতেন তিনি। ৩২ বছর বয়সে ইউরোপের ফুটবলের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা এড়িয়ে আয়েশে আয় করতে পারতেন কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ। সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসর থেকে যে বিশাল অঙ্কের বেতনের প্রস্তাব ছিল আঁতোয়ান গ্রিজমানের
কিন্তু গ্রিজমানকে টানেনি সেই আয়েশ, অর্থ আর রোনালদোর সতীর্থ হওয়ার হাতছানি। ফরাসি এই তারকাকে টেনেছে একটি চ্যালেঞ্জ, একটি রেকর্ডকে নিজের করে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ। এখন তিনি খেলছেন আতলেতিকো মাদ্রিদে। ক্লাবটির সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে আর ১৫ গোল দরকার তাঁর। এ রেকর্ডটা নিজের করে নিতে আতলেতিকো মাদ্রিদেই থেকে গেছেন গ্রিজমান।
পেশাদার ফুটবলে স্পেনের বাইরে এখনো আর কোনো দেশে খেলেননি গ্রিজমান। ২০০৫ থেকে ২০০৯, এই চার বছর রিয়াল সোসিয়েদাদের যুব দলে খেলেছেন। ২০১০ থেকে ২০১৪, এই পাঁচ মৌসুম খেলেছেন ক্লাবটির মূল দলে।
গ্রিজমান এরপর নাম লেখান আতলেতিকো মাদ্রিদে। সেখানে পাঁচ মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৫৭ ম্যাচ খেলে করেছেন ১৩৩ গোল। আতলেতিকোতে পাঁচ মৌসুম খেলার পর মাদ্রিদ থেকে ২০১৯ সালে ফরাসি এই ফরোয়ার্ড বার্সেলোনায় পাড়ি জমান। কিন্তু বার্সেলোনায় সময়টা খুব একটা ভালো কাটেনি তাঁর। তিন মৌসুমে সেখানে ১০২ ম্যাচ খেলে ৩৫ গোল করেছেন গ্রিজমান।
বার্সেলোনায় ব্যর্থ একটা অধ্যায় শেষ করে গ্রিজমান ২০২১-২২ মৌসুমে ধারে আতলেতিকোয় ফেরেন। গত মৌসুমে ধারের চুক্তিটা স্থায়ী করে নেন। ৮৭ ম্যাচ খেলে করেছেন ২৫ গোল। এর মধ্যেই আল নাসর থেকে প্রস্তাব আসে তাঁর।
ইউরো ২০২৪-এর বাছাইপর্বে ফ্রান্সের হয়ে খেলতে গিয়ে এসব নিয়ে কথা বলেছেন গ্রিজমান, ‘আমাকে তারা ফোন করেছিল এবং যোগাযোগও হয়েছে। আমি আমার ক্লাবেই মনোযোগী থেকেছি। ক্লাবের সর্বকালের সেরা গোলদাতা হওয়া থেকে আমি ১৫ গোল দূরে। আমি আমার বোনকে বলেছিলাম, কোথাও যাচ্ছি না। এখানেই থাকছি।’
গ্রিজমান এরপর যোগ করেন, ‘আমি রেকর্ডটি ভাঙার চেষ্টা করব...এটা ক্লাব ছাড়ার সময় নয়।’ আতলেতিকোর জার্সিতে গ্রিজমানের মোট গোল এখন ১৫৮টি। ১৭৩ গোল নিয়ে এখন আতলেতিকোর সর্বোচ্চ গোলদাতা স্পেনের সাবেক ফরোয়ার্ড ও ২০০৮ সালে স্পেনকে ইউরো জেতানো কোচ লুইস আরাগোনেস।