আতলেতিকো মাদ্রিদকে হারানোর পর দর্শকদের অভিবাদনের জবাব দিচ্ছেন জিরোনা কোচ ও খেলোয়াড়েরা
আতলেতিকো মাদ্রিদকে হারানোর পর দর্শকদের অভিবাদনের জবাব দিচ্ছেন জিরোনা কোচ ও খেলোয়াড়েরা

‘রিয়ালের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবে না’ জিরোনা

রিয়াল মাদ্রিদ নয়তো বার্সেলোনার দাপট, তার মাঝে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দলকে টেক্কা দিয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদের চমক—গত ২০টি মৌসুমের দিকে তাকালে স্প্যানিশ লা লিগার সারসংক্ষেপ এটাই।

তবে এবারের লা লিগায় নতুন চমক হয়ে এসেছে দুই মৌসুম আগেও দ্বিতীয় স্তরের লিগে খেলা জিরোনা। এবার রিয়াল, বার্সা কিংবা আতলেতিকোর মধ্যে নয়; পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান নিয়ে ইঁদুর-বিড়াল খেলা চলছে রিয়াল-জিরোনার মধ্যে।

২০২৩-২৪ মৌসুমে জিরোনাকে তো শিরোপার বড় দাবিদারও মনে করা হচ্ছে। বার্সেলোনার ‘বন্ধুসুলভ’ প্রতিবেশী ক্লাবটি কয়েক সপ্তাহ আগেও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ছিল। এখন শীর্ষে থাকা রিয়ালের সঙ্গে সমান ৪৮ পয়েন্ট নিয়েও দুইয়ে জিরোনা। দুই দলের পার্থক্য গোল ব্যবধানে। তৃতীয় বার্সা ও চতুর্থ আতলেতিকোর সঙ্গে এরই মধ্যে তাদের ব্যবধান ১০ পয়েন্টের।

ইভান মার্তিনের শেষ মুহূর্তের গোলে গত রাতে আতলেতিকো মাদ্রিদকে হারিয়েছে জিরোনা

গত রাতে রিয়াল মায়োর্কাকে হারানোর দুই ঘণ্টার মধ্যে আতলেতিকোকে হারিয়ে দিয়েছে জিরোনা; সেটাও মৌসুমের অন্যতম সেরা ম্যাচ উপহার দিয়ে। ৩-৩ সমতায় থাকা ম্যাচের যোগ করা সময়ে জয়সূচক গোল করেন জিরোনা মিডফিল্ডার ইভান মার্তিন।

দল রিয়ালের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে, যেকোনো মুহূর্তে ‘লস ব্লাঙ্কোস’দের আবারও পেছনে ফেলে শীর্ষে ওঠার সুযোগ আছে। তবু জিরোনার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ দেখছেন না কোচ মিকেল। এমনকি লা লিগার ‘বিগ থ্রি’র সঙ্গে নিজের দলকে তুলনায়ও আনতে চান না। গতকাল রাতে ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মিকেল বলেছেন, ‘আমরা মাদ্রিদের (রিয়ালের) ছন্দের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারব না। আমরা এমন কোনো তকমা লাগিয়ে খেলতে চাই না, যেটা আমাদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।’

লা লিগার শীর্ষ ৪ দল স্পেন থেকে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার সুযোগ পায়। জিরোনার পারফরম্যান্স দেখে মনে হচ্ছে, এ মৌসুমে লিগ চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও শীর্ষ চারে থেকে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা নিশ্চিত। ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতায় যেটি হবে তাদের প্রথম অংশগ্রহণ।

জিরোনা কোচ মিকেল

তবে মিকেল এখনই এত কিছু ভাবছেন না, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো বড় কিছু নিয়ে কথা বলতে হলে আমাদের শেষ ১০ ম্যাচে যেতে হবে। তখন আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য নিয়ে কথা বলব। লিগ জয় আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের প্রথম লক্ষ্য ম্যাচ ধরে ধরে এগোনো। ইউরোপে (চ্যাম্পিয়নস লিগ, ইউরোপা লিগ অথবা কনফারেন্স লিগ) পৌঁছানোর চেষ্টা করব। এটিই আমাদের জন্য একটি সাফল্য হবে।’