প্রায় এক দশক ধরে বেলজিয়াম ফুটবল দল নিয়ে যেকোনো আলাপে ‘সোনালি প্রজন্মের’ প্রসঙ্গ চলেই আসে। প্রতিবারই বড় টুর্নামেন্টের আগে এডেন হ্যাজার্ড, রোমেলু লুকাকু, কেভিন ডি ব্রুইনা এবং থিবো কোর্তোয়াদের নিয়ে গড়া সোনালি প্রজন্মের দারুণ কিছু করার সম্ভাবনার কথা বলা হয়।
তবে মূল মঞ্চে সেই আলাপের অনুবাদ হয়েছে সামান্যই। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান পাওয়াই সোনালি প্রজন্মের সর্বোচ্চ অর্জন।
তবে লক্ষ্য যখন সোনালি রঙের ট্রফিটি, তখন এর কম যেকোনো অনেক অর্জনই যে ব্যর্থতা! প্রশ্ন হচ্ছে, সোনালি প্রজন্ম কি পারবে ট্রফিটি উঁচিয়ে ধরতে? আক্ষরিক অর্থেই কিন্তু এবার শেষ সুযোগ বেলজিয়ামের। দলের তারকা হ্যাজার্ডও মেনে নিয়েছেন তা।
৩১, ৩০, ৩১ ও ২৯—সংখ্যাগুলো মূলত বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্মের চার শীর্ষ তারকা হ্যাজার্ড, কোর্তোয়া, ডি ব্রুইনা ও লুকাকুর বয়স। এর সঙ্গে যোগ করতে হবে চোট–প্রবণতাকেও। খুব সামান্যই সম্ভাবনা আছে যে তাঁরা আরেকটি বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন।
কেউ কেউ পারলেও নিশ্চিতভাবে সে সময় আর দলের সেরা তারকা থাকবেন না তাঁরা। হলে কাতারেই হবে, নয়তো এখানেই যাত্রা শেষ। এই বাস্তবতা মেনে নিয়েছেন হ্যাজার্ডও। রিয়াল মাদ্রিদের এই বেলজিয়ান তারকা বলেছেন, ‘এই প্রজন্মকে নিয়ে আমরা কিছু জিততে পারি, সেটা দেখানোর জন্য এই বিশ্বকাপই আমাদের শেষ সুযোগ। এটা বেশ জটিল হবে, তবে আমরা নিজেদের সবটুকু উজাড় করে দেব।’
চেলসিতে নিজের সেরা সময় পার করা হ্যাজার্ড রিয়ালে আসার পর থেকেই সংগ্রাম করছেন। তবে পারফরম্যান্সের চেয়ে চোটের সঙ্গেই বেশি লড়তে হয়েছে তাঁকে। চোটে পড়ে লম্বা সময় বাইরে থাকতে হয়েছে তাঁকে। হ্যাজার্ড মনে করেন, সম্ভবত তিনি কাতারেই শেষবার বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন।
জাতীয় দলে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান হলেও রিয়ালের হয়ে এখন খেলা থামানোর কথা ভাবছেন না হ্যাজার্ড, ‘আমি রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে চাই না। উত্তরটা পরিষ্কার, তবে বিষয়টা কেবল আমার ওপর নির্ভর করছে না।’