লিওনেল মেসি এবং ইন্টার মায়ামি এখন যেন সমার্থক। মেসির হাত ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে নতুন এক যুগের সূচনা করেছে ইন্টার মায়ামি। মেসি আসার পর এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলে কোনোটিতে হারেনি দলটি। এর মধ্যে মেসির হাত ধরে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম শিরোপাও জিতেছে মায়ামি। পাশাপাশি নিশ্চিত করেছে ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালও। এখন মেসির সামনে চ্যালেঞ্জ মায়ামিকে এমএলএসের তলানি থেকে টেনে তুলে প্লে–অফে পৌঁছে দেওয়া।
তবে মেসি আসার আগে দলটির পারফরম্যান্স এতটাই হতশ্রী ছিল যে এখন কাজটা বেশ কঠিনই। এর মধ্যে এমএলএসে দুই ম্যাচে খেলে একটি জয় এবং অন্যটিতে ড্র করেছে মায়ামি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ড্র–ও মায়ামির জন্য হারের সমান। আর তাই মেসিকে কোনোভাবেই মাঠের বাইরে রাখতে চান না ইন্টার মায়ামি কোচ জেরার্দো টাটা মার্তিনো।
বিশেষ করে আগামীকাল লস অ্যাঞ্জেলেসের বিপক্ষে ম্যাচে মেসিকে বাইরে রাখার কথা ভাবতেই পারছেন না এই আর্জেন্টাইন কোচ। লস অ্যাঞ্জেলেস এমএলএসের সবচেয়ে শক্তিশালী দলগুলোর অন্যতম। লিগে তারা বর্তমান চ্যাম্পিয়নও বটে। কঠিন এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মেসিকে সঙ্গে নিয়েই দারুণ কিছু করে দেখাতে চান মার্তিনো।
লস অ্যাঞ্জেলেসের বিপক্ষে মেসিকে বিশ্রাম দেওয়ার কথা ভাবছেন কি না, জানতে চাইলে মার্তিনো বলেছেন, ‘সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে এত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মেসিকে বিশ্রাম দেওয়ার বিষয়টি আমি ভাবতেই পারছি না। এর আগে যে ম্যাচে গিয়ে আমাদের থামতে হয়েছিল, সেটি ছিল রেড বুলসের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে সে ৩০ মিনিটে খেলেছিল। এখন আগামীকালের ম্যাচে সে খেলতে নামবে।’
লস অ্যাঞ্জেলেসের বিপক্ষে কঠিন লড়াই হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে মার্তিনো বলেছেন, ‘আমার মতে, এই লিগের অন্যতম সেরা দল হচ্ছে এলএএফসি। শেষবারও এই লিগে তাঁরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তাদের দলীয় কাঠামোর মধ্যে কার্লোস (ভেলা) বেশ গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়। ডেনিস বোয়াঙ্গাও পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। ইলিয়েও একই রকম। তারা এমন দল যেখানে প্রত্যেকেই একে অপরকে সহায়তা করে। আমাদের জন্য ম্যাচটি বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে।’
লস অ্যাঞ্জেলেসের বিপক্ষে খেললেও মেসিকে পরের ম্যাচে পাবে না ইন্টার মায়ামি। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে আর্জেন্টিনায় চলে যাবেন বিশ্বজয়ী এই তারকা। ৮ সেপ্টেম্বর ইকুয়েডর এবং ১৩ সেপ্টেম্বর বলিভিয়ার বিপক্ষে খেলবে আর্জেন্টিনা। এই দুই ম্যাচ শেষ করে আবার মায়ামির সঙ্গে যোগ দেবেন মেসি।