সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই প্রশ্নটা করা হলো জামাল ভূঁইয়াকে। আগামীকাল সেশেলসের বিপক্ষে সিলেটে প্রথম ফিফা আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হচ্ছে কি এলিটা কিংসলির?
সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনকক্ষে বসে বাংলাদেশের অধিনায়ক যা বললেন, তাতে একটা ইঙ্গিত কিন্তু মিলছে। নাইজেরিয়ার নাগরিকত্ব ছেড়ে ২০২১ সালে বাংলাদেশি হয়ে যাওয়া কিংসলিকে নিয়ে জামালের মুখে শুধুই প্রশংসা। সেটা কেমন? শুনুন জামালের মুখেই, ‘এলিটা অন্যদের চেয়ে আলাদা। ও শারীরিকভাবে বেশ শক্তিশালী। অনেক দিন ধরে বাংলাদেশে খেলছে। ওর মতো বাংলাদেশি প্লেয়ার নেই। ও দলের জন্য ভালো। একেবারে বক্স প্লেয়ার। আমরা নিশ্চয়ই ওকে দেখব ম্যাচে।’
এলিটাকে আগামীকাল খেলানো হবে, কি হবে না—সেটা আসলে কোচের এখতিয়ার। এ ব্যাপারে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি কিছু বলেননি। এলিটাকে খেলাবেন, কী খেলাবেন না—এই প্রশ্নে কৌশলী উত্তরই দিয়েছেন স্প্যানিশ কোচ, ‘বিষয়টা নিয়ে আমি এখনই বলতে পারব না। এখনো ২৭ জন খেলোয়াড় আছে আমার হাতে। প্রথম ম্যাচের আগে আমরা দল ঘোষণা করব। আজ অনুশীলন শেষে ঠিক করব ২৩ জন।’
স্ট্রাইকার হিসেবে কাবরেরার হাতে এলিটা আছেন, সুমন রেজা আছেন। তাঁদের প্রশংসা করে কাবরেরার মুখে চিরন্তন সেই কথা যা ম্যাচের আগে বলে থাকেন কোচরা, ‘ম্যাচে যে-ই সুযোগ পাক আশা করি সে সেরাটা দেবে।’
তবে সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনির্ধারিত কথাবার্তায় জামাল স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘এলিটার অভিষেকের ব্যাপারে কোচ ইতিবাচকভাবেই ভাবছেন বলে আমি জানি। একাদশে রাখবেন নাকি বদলি হিসেবে ব্যবহার করবেন, সেটা কোচের সিদ্ধান্ত।’
এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে স্থানীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭ গোল এলিটারই। ফলে তাঁকে বাদ দেওয়া কঠিনই কাবরেরার জন্য। অন্যদের পায়ে গোল নেই। সব মিলিয়ে এলিটার অভিষেকের মঞ্চ প্রস্তুতই মনে হচ্ছে সিলেট। ৩৩ বছর বয়সী ঢাকা আবাহনী স্ট্রাইকার নিজেও বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে উন্মুখ হয়ে আছেন। বলেছেন, ‘বাংলাদেশের হয়ে খেলা আমার স্বপ্ন। সুযোগ পেলে মাঠে নিজেকে উজাড় করে দেব।’